বিএনপির না বলার রাজনীতির অবসান প্রয়োজন: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির সাংঘর্ষিক এবং না বলার রাজনীতির অবসান প্রয়োজন।

 

তিনি বলেন, বিএনপির সবকিছুতেই না বলার যে রাজনীতি সেটির অবসান হওয়া প্রয়োজন। যেখানে না বলা দরকার অবশ্যই সেখানে না বলবে। কিন্তু সবকিছুতেই না বলা আর সবসময় সাংঘর্ষিক রাজনীতি করা দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করে, যে আর না বলার রাজনীতি থেকে বিএনপি নিজেকে মুক্ত করবে।

আজ রাজধানীতে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ (বিএসপি) আয়োজিত বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে একথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মহাসচিব ফখরুল সাহেব আজ বলেছেন যে সমমনা দলগুলোকে নিয়ে আন্দোলনে নামবেন। ক’দিন আগে উনিই বলেছিলেন, উনারা আন্দোলনে আছেন, আবার এখন বলছেন নামবেন -এখন কোনটা সঠিক সেটা বোঝা মুশকিল।

 

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশে সাড়ে ১২শ’ পত্রিকা, অথচ পশ্চিমবঙ্গের দিকে তাকালে দেখি সেখানে এতো পত্রিকা নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদপত্রবান্ধব, সাংবাদিকবান্ধব সেকারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, অনেক পত্রিকার ডিক্লারেশন আছে কাগজে কিন্তু সেগুলো নিয়মিত বের হয় না, যেদিন বিজ্ঞাপন পায় সেদিন বের হয়। অনেক পত্রিকার যিনি সম্পাদক, তিনিই রিপোর্টার। অনেক পত্রিকায় দেখা যায়, সাংবাদিক নিয়োগ দেওয়া হয় কিন্তু তাদের বেতন দেওয়া হয় না, বলা হয়, তোমার বেতন তুমি সংগ্রহ করো।

 

যে সমস্ত পত্রিকা নিয়মিত বের হয় না সেগুলো আমরা সরকারের পক্ষ থেকে চিহ্নিত করেছি জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিক এবং প্রকাশকদেরও দাবি ছিল, পত্রিকা প্রকাশে অনিয়মের জন্য যেন গণমাধ্যমের বদনাম না হয়। সে পরিপ্রেক্ষিতে এরই মধ্যেই চারশ’র বেশি পত্রিকা চিহ্নিত করা হয়েছে, তারমধ্যে দুইশ’ পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। তবে কেউ যদি সংশোধন হতে চায় তাহলে সেই সুযোগ থাকবে।

 

জাতীয় দিবসগুলোতে এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ দিবসে পত্রিকায় ছাপানোর জন্য ক্রোড়পত্র প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, বৈশ্বিক যে অবস্থা বিরাজমান সেটি আপনারা জানেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দসীমার কথাও আপনারা জানেন। কোনো কোনো বড় পত্রিকার ১০-১২ কোটি টাকা বিলও বকেয়া রয়েছে। অবশ্য সরকারি বকেয়া বিল আজ হোক, কাল হোক অবশ্যই পাবেন। কিন্তু আগের মতো যথেচ্ছভাবে ক্রোড়পত্র দেওয়ার সুযোগ আর নেই।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» জুলাই শহীদদের প্রকৃত সম্মান হবে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়া : পরিবেশ উপদেষ্টা

» তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমানের খালাসের রায় প্রকাশ

» ‘দুলাভাই, দুলাভাই’ স্লোগানে মুখরিত এনসিপির মঞ্চ, উৎসাহ দিলেন হাসনাত

» সংসদে ১০০ নারী আসনের পক্ষে বিএনপি, তবে সংরক্ষিত : সালাহউদ্দিন

» চাঁদাবাজ যেখানে সংগ্রাম হবে সেখানে: জামায়াতের নায়েবে আমির

» বিএনপির নেতাকে নিয়ে অশ্লীল স্লোগান দেওয়ার পরও ছাত্রদলের লাখো নেতাকর্মীকে শান্ত রেখেছি : ছাত্রদল সভাপতি

» বিএনপি ছাড়া বাংলাদেশ কারও হাতে নিরাপদ নয়: মির্জা আব্বাস

» বিএনপি এখন চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের দলে পরিণত হয়েছে: নাহিদ ইসলাম

» জুলাই স্মৃতি জাদুঘরের উদ্বোধন ৫ আগস্ট

» এ সরকারের শাসনামলেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে : ড. আসিফ নজরুল

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

বিএনপির না বলার রাজনীতির অবসান প্রয়োজন: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির সাংঘর্ষিক এবং না বলার রাজনীতির অবসান প্রয়োজন।

 

তিনি বলেন, বিএনপির সবকিছুতেই না বলার যে রাজনীতি সেটির অবসান হওয়া প্রয়োজন। যেখানে না বলা দরকার অবশ্যই সেখানে না বলবে। কিন্তু সবকিছুতেই না বলা আর সবসময় সাংঘর্ষিক রাজনীতি করা দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করে, যে আর না বলার রাজনীতি থেকে বিএনপি নিজেকে মুক্ত করবে।

আজ রাজধানীতে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ (বিএসপি) আয়োজিত বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে একথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মহাসচিব ফখরুল সাহেব আজ বলেছেন যে সমমনা দলগুলোকে নিয়ে আন্দোলনে নামবেন। ক’দিন আগে উনিই বলেছিলেন, উনারা আন্দোলনে আছেন, আবার এখন বলছেন নামবেন -এখন কোনটা সঠিক সেটা বোঝা মুশকিল।

 

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশে সাড়ে ১২শ’ পত্রিকা, অথচ পশ্চিমবঙ্গের দিকে তাকালে দেখি সেখানে এতো পত্রিকা নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদপত্রবান্ধব, সাংবাদিকবান্ধব সেকারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, অনেক পত্রিকার ডিক্লারেশন আছে কাগজে কিন্তু সেগুলো নিয়মিত বের হয় না, যেদিন বিজ্ঞাপন পায় সেদিন বের হয়। অনেক পত্রিকার যিনি সম্পাদক, তিনিই রিপোর্টার। অনেক পত্রিকায় দেখা যায়, সাংবাদিক নিয়োগ দেওয়া হয় কিন্তু তাদের বেতন দেওয়া হয় না, বলা হয়, তোমার বেতন তুমি সংগ্রহ করো।

 

যে সমস্ত পত্রিকা নিয়মিত বের হয় না সেগুলো আমরা সরকারের পক্ষ থেকে চিহ্নিত করেছি জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিক এবং প্রকাশকদেরও দাবি ছিল, পত্রিকা প্রকাশে অনিয়মের জন্য যেন গণমাধ্যমের বদনাম না হয়। সে পরিপ্রেক্ষিতে এরই মধ্যেই চারশ’র বেশি পত্রিকা চিহ্নিত করা হয়েছে, তারমধ্যে দুইশ’ পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। তবে কেউ যদি সংশোধন হতে চায় তাহলে সেই সুযোগ থাকবে।

 

জাতীয় দিবসগুলোতে এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ দিবসে পত্রিকায় ছাপানোর জন্য ক্রোড়পত্র প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, বৈশ্বিক যে অবস্থা বিরাজমান সেটি আপনারা জানেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দসীমার কথাও আপনারা জানেন। কোনো কোনো বড় পত্রিকার ১০-১২ কোটি টাকা বিলও বকেয়া রয়েছে। অবশ্য সরকারি বকেয়া বিল আজ হোক, কাল হোক অবশ্যই পাবেন। কিন্তু আগের মতো যথেচ্ছভাবে ক্রোড়পত্র দেওয়ার সুযোগ আর নেই।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com