ফাইল ছবি
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০৪১ সালের উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নগরায়ণ হতে হবে। বাসযোগ্য ঢাকার জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পয়োনিষ্কাশন, খোলা জায়গা, খেলার মাঠ থেকে শুরু করে জনসংখ্যার ঘনত্ব বিবেচনায় নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে।
যত্রতত্র, খেয়ালখুশিমতো স্থাপনা তৈরির সংস্কৃতি থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। এ সময় মন্ত্রী নাগরিকদের ইতিবাচক মনোজাগতিক পরিবর্তনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, আইন ও নিয়মকানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নাগরিকরাই উন্নত ও স্মার্ট নগরের প্রধান কারিগর।
আজ (৯ মার্চ) গুলশানে দুই দিনব্যাপী ঢাকা উত্তর সিটি স্যানিটেশন ট্রেড ফেয়ার ২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
নাগরিকদের সঠিক পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার বিষয়ে সচেতন করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, সবার সচেতনতা এবং সহযোগিতা থাকলে বাসযোগ্য ঢাকা গড়া সম্ভব।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১২ সালে পয়োনিষ্কাশনের জন্য ঢাকা শহরকে পাঁচটি ক্যাচমেন্ট এলাকায় ভাগ করেন। কারণ দুর্বল পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা বাসযোগ্য ঢাকার অন্তরায়।
তিনি বলেন, আমাদের মাথাপিছু আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোগ করার প্রবণতা বেড়েছে। যার ফলে দৈনিক প্রচুর বর্জ্য এবং আবর্জনা তৈরি হচ্ছে। ঢাকা শহরে প্রতিদিন ৬ হাজার টন বর্জ্য উৎপাদিত হয় জানিয়ে তিনি বলেন, এ বর্জ্য সঠিক ব্যবস্থাপনায় আনা না গেলে বাসযোগ্য ঢাকার স্বপ্ন অধরা থেকে যাবে।
এ সময় মন্ত্রী উন্নত বিশ্বের উদাহরণ দিয়ে বলেন, জাপান, সিঙ্গাপুরের মতো দেশও একসময় এ ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল এবং তারা সফলভাবে তা মোকাবিলা করে স্মার্ট নগর গড়তে পেরেছে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব বাধা-বিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে আমরাও বাসযোগ্য ঢাকার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবো।
তিনি বলেন, বাসযোগ্য ঢাকা বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন সমস্যা এবং তার সমাধান এখন চিহ্নিত করা হয়েছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও অংশগ্রহণের ফলে সমস্যা এবং সমাধানের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করা গেলেই আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এ সময় ঢাকার পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা ও সমস্যার সমাধানকল্পে একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তের সঞ্চালনায় এতে ঢাকা শহরের নাগরিক সেবা প্রদানকারী বিভিন্ন সংস্থার দপ্তর প্রধানসহ নগর পরিকল্পনাবিদ ও বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করে। সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম