বাঙালির অধিকার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু কখনো আপস করেননি : স্পিকার

স্বাধীনতা একটি কঠিন পথ বেয়ে এসেছে উল্লেখ করে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, অনেক আত্মত্যাগ, প্রাণ ও রক্তের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা। আর তাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি তার জীবনের বেশিরভাগ সময়ই কাটিয়েছেন কারাভ্যন্তরের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে। কিন্তু বাঙালি জাতির অধিকারের প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু কখনো আপস করেননি।

 

শুক্রবার (২৫ মার্চ) রাতে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে “গণহত্যার কালরাত্রি ও আলোকের অভিযাত্রী” শিরোনামে জাতীয় গণহত্যা দিবস-২০২২ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, মার্চ মাস আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। এ মাসেই জন্ম হয়েছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ মহান নেতাই নেতৃত্ব দিয়েছেন ২৪ বছরের দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামে।

zz

স্পিকার বলেন, আজকের প্রজন্ম অর্থাৎ ১৯৭১ সালের পরে যাদের জন্ম তাদের গণহত্যার ইতিহাস জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে কোথায় কোথায় সেই রাতে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছিল এবং পাক সেনাবাহিনী যে আক্রমণটা চালিয়েছিল তা যে সুদূর পরিকল্পিত ছিল এগুলো জানা দরকার। কীভাবে তারা অগ্রসর হয়েছে- ফার্মগেট থেকে শুরু করে রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ হলের দিকে তার ইতিহাস জানতে হবে। প্রতিটি জায়গায় একটার পর একটা হত্যাযজ্ঞের ছক সাজানো ছিল পাক হানদারদের। প্রতিটি জায়গায় আক্রমণ করে এগিয়ে গেছে তারা। নিরস্ত্র ও ঘুমন্ত একটি জাতির ওপরে এ ধরনের আক্রমণ অবশ্যই গণহত্যা। এ ব্যাপারে কোনোমতেই দ্বিমত থাকার সুযোগ নেই।

 

তিনি আরও বলেন, সেই গণহত্যায় জীবন দিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা, জীবন দিয়েছেন নারী-শিশু ও সাধারণ মানুষ। আমরা বলি ৩০ লাখ মহান শহীদ ও ২ লাখ মো-বোনেরা তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা কিন্তু তার চেয়েও বহু মানুষ জীবন দিয়েছেন যা আজও অজানা রয়ে গেছে। হয়তো তাদের নাম আমরা এখনো জানতে পারেনি। ইতিহাসের অতল গহ্বরে তারা হারিয়ে যাচ্ছেন। সে কারণেই আজকের আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে প্রত্যক্ষদর্শীরাই আজকের আলোচনায় সেই সময়ের বর্ণনা করেছেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ২৫ মার্চ ফার্মগেইটে প্রতিরোধের ব্যারিকেডের নেতৃত্বদানকারী তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

 

২৫ মার্চ কালরাত্রি স্মরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, খ্যাতনামা ইতিহাসবিদ ও বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন। ২৫ মার্চ হত্যাযজ্ঞের প্রত্যক্ষদর্শী এবং দীপ্ত টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফুয়াদ চৌধুরী ও রাজারবাগ প্রতিরোধযোদ্ধা শাহজাহান মিয়া প্রমুখ।

 

অনুষ্ঠানে বক্তারা ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী কতৃক সারাদেশে গণহত্যা এবং রাজারবাগ পিলখানায় প্রতিরোধসহ ফার্মগেটের প্রথম প্রতিরোধের স্মৃতিচারণ করেন।

vdv

বক্তারা বলেন, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া ২৫ মার্চ দিবাগত মধ্যরাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে বাঙ্গালিদের ওপর বর্বর অপারেশন চালানোর নির্দেশ দেন। অপারেশন সার্চ লাইট নামক ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী দুটি সদরদপ্তর স্থাপন করা হয়। মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলীর তত্ত্বাবধানে প্রথম সদর দপ্তরটি গঠিত হয়। এখানে ৫৭তম ব্রিগেডের ব্রিগেডিয়ার আরবাপকে শুধু ঢাকা নগরী ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় এবং মেজর জেনারেল খাদিম রাজাকে প্রদেশের অবশিষ্টাংশ দায়িত্ব দেওয়া হয়। অপারেশনের সার্বিক দায়িত্বে থাকেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান। বাঙালি মুক্তিকামী ছাত্র-জনতা এবং রাজনৈতিক কর্মীরা ক্যান্টনমেন্টের বাইরে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। শহরের বিভিন্ন এলাকায় পাকিস্তানি সৈন্যদের অভিযান ঠেকাতে রাস্তায় প্রতিবন্ধক সৃষ্টি করা হয়।

 

২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা মেশিনগান জিপ ও ট্রাকে করে ঢাকার রাস্তায় নেমে পড়ে। তাদের প্রথম সাঁজোয়া বহরটি ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেরিয়ে এক কিলোমিটারের মধ্যে ফার্মগেট এলাকায় ব্যারিকেডের মুখে পড়ে।

 

বক্তরা বলেন, তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা আসাদুজ্জামান খান কামালের (বর্তমানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) নেতৃত্বে ছাত্র-শ্রমিক-আওয়ামী লীগ নেতারা এ ব্যারিকেড তৈরি করেন। রাস্তাযর সব পাশেই ফেলে রাখা হয়েছিল বিশালাকৃতির গাছ। অকেজো পুরনো গাড়ি, অচল রোড রোলার ও ব্যারিকেডের কাজে ব্যবহার করা হয়। কয়েকশ লোক প্রায় ১৫ মিনিট ধরে অলিগলি থেকে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেয়। তবে সেনাদের গুলি দ্রুত তাদের নিস্তব্ধ করে দেয়। সেনাবহর শহরময় ছড়িয়ে শুরু করে গণহত্যা।

 

অনুষ্ঠানে ২৫ মার্চ কালরাতে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ব‍্যারিকেডের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় ও “ব‍্যারিকেড ৭১” নামে একটি নাটক মঞ্চস্থ করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে একটি মোমবাতি মিছিল কেআইবি থেকে শুরু হয়ে ফার্মগেটে অবস্থিত প্রথম ব‍্যারিকেডস্থলে গিয়ে শেষ হয়।   সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ডাকাতির ঘটনায় ৬ জন গ্রেফতার

» ট্রাকচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

» আওয়ামী লীগই বাংলাদেশের চরমপন্থী ও সন্ত্রাসী দল : জামায়াত আমির

» রাজবাড়ীতে ছাত্রদল কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

» ৩৬ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না কুমিল্লায়

» সাভারে ছাত্র হত্যা মামলায় শ্রমিকলীগ সভাপতি শওকত গ্রেফতার

» হোয়াইটওয়াশের লজ্জা; যা বললেন শান্ত

» পাকিস্তানে উপজাতিদের মধ্যে সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ নিহত ১১

» বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত, ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

» আজ রবিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট-দোকানপাট বন্ধ থাকবে

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

বাঙালির অধিকার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু কখনো আপস করেননি : স্পিকার

স্বাধীনতা একটি কঠিন পথ বেয়ে এসেছে উল্লেখ করে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, অনেক আত্মত্যাগ, প্রাণ ও রক্তের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা। আর তাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি তার জীবনের বেশিরভাগ সময়ই কাটিয়েছেন কারাভ্যন্তরের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে। কিন্তু বাঙালি জাতির অধিকারের প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু কখনো আপস করেননি।

 

শুক্রবার (২৫ মার্চ) রাতে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে “গণহত্যার কালরাত্রি ও আলোকের অভিযাত্রী” শিরোনামে জাতীয় গণহত্যা দিবস-২০২২ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, মার্চ মাস আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। এ মাসেই জন্ম হয়েছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ মহান নেতাই নেতৃত্ব দিয়েছেন ২৪ বছরের দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামে।

zz

স্পিকার বলেন, আজকের প্রজন্ম অর্থাৎ ১৯৭১ সালের পরে যাদের জন্ম তাদের গণহত্যার ইতিহাস জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে কোথায় কোথায় সেই রাতে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছিল এবং পাক সেনাবাহিনী যে আক্রমণটা চালিয়েছিল তা যে সুদূর পরিকল্পিত ছিল এগুলো জানা দরকার। কীভাবে তারা অগ্রসর হয়েছে- ফার্মগেট থেকে শুরু করে রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ হলের দিকে তার ইতিহাস জানতে হবে। প্রতিটি জায়গায় একটার পর একটা হত্যাযজ্ঞের ছক সাজানো ছিল পাক হানদারদের। প্রতিটি জায়গায় আক্রমণ করে এগিয়ে গেছে তারা। নিরস্ত্র ও ঘুমন্ত একটি জাতির ওপরে এ ধরনের আক্রমণ অবশ্যই গণহত্যা। এ ব্যাপারে কোনোমতেই দ্বিমত থাকার সুযোগ নেই।

 

তিনি আরও বলেন, সেই গণহত্যায় জীবন দিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা, জীবন দিয়েছেন নারী-শিশু ও সাধারণ মানুষ। আমরা বলি ৩০ লাখ মহান শহীদ ও ২ লাখ মো-বোনেরা তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা কিন্তু তার চেয়েও বহু মানুষ জীবন দিয়েছেন যা আজও অজানা রয়ে গেছে। হয়তো তাদের নাম আমরা এখনো জানতে পারেনি। ইতিহাসের অতল গহ্বরে তারা হারিয়ে যাচ্ছেন। সে কারণেই আজকের আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে প্রত্যক্ষদর্শীরাই আজকের আলোচনায় সেই সময়ের বর্ণনা করেছেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ২৫ মার্চ ফার্মগেইটে প্রতিরোধের ব্যারিকেডের নেতৃত্বদানকারী তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

 

২৫ মার্চ কালরাত্রি স্মরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, খ্যাতনামা ইতিহাসবিদ ও বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন। ২৫ মার্চ হত্যাযজ্ঞের প্রত্যক্ষদর্শী এবং দীপ্ত টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফুয়াদ চৌধুরী ও রাজারবাগ প্রতিরোধযোদ্ধা শাহজাহান মিয়া প্রমুখ।

 

অনুষ্ঠানে বক্তারা ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী কতৃক সারাদেশে গণহত্যা এবং রাজারবাগ পিলখানায় প্রতিরোধসহ ফার্মগেটের প্রথম প্রতিরোধের স্মৃতিচারণ করেন।

vdv

বক্তারা বলেন, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া ২৫ মার্চ দিবাগত মধ্যরাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে বাঙ্গালিদের ওপর বর্বর অপারেশন চালানোর নির্দেশ দেন। অপারেশন সার্চ লাইট নামক ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী দুটি সদরদপ্তর স্থাপন করা হয়। মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলীর তত্ত্বাবধানে প্রথম সদর দপ্তরটি গঠিত হয়। এখানে ৫৭তম ব্রিগেডের ব্রিগেডিয়ার আরবাপকে শুধু ঢাকা নগরী ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় এবং মেজর জেনারেল খাদিম রাজাকে প্রদেশের অবশিষ্টাংশ দায়িত্ব দেওয়া হয়। অপারেশনের সার্বিক দায়িত্বে থাকেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান। বাঙালি মুক্তিকামী ছাত্র-জনতা এবং রাজনৈতিক কর্মীরা ক্যান্টনমেন্টের বাইরে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। শহরের বিভিন্ন এলাকায় পাকিস্তানি সৈন্যদের অভিযান ঠেকাতে রাস্তায় প্রতিবন্ধক সৃষ্টি করা হয়।

 

২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা মেশিনগান জিপ ও ট্রাকে করে ঢাকার রাস্তায় নেমে পড়ে। তাদের প্রথম সাঁজোয়া বহরটি ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেরিয়ে এক কিলোমিটারের মধ্যে ফার্মগেট এলাকায় ব্যারিকেডের মুখে পড়ে।

 

বক্তরা বলেন, তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা আসাদুজ্জামান খান কামালের (বর্তমানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) নেতৃত্বে ছাত্র-শ্রমিক-আওয়ামী লীগ নেতারা এ ব্যারিকেড তৈরি করেন। রাস্তাযর সব পাশেই ফেলে রাখা হয়েছিল বিশালাকৃতির গাছ। অকেজো পুরনো গাড়ি, অচল রোড রোলার ও ব্যারিকেডের কাজে ব্যবহার করা হয়। কয়েকশ লোক প্রায় ১৫ মিনিট ধরে অলিগলি থেকে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেয়। তবে সেনাদের গুলি দ্রুত তাদের নিস্তব্ধ করে দেয়। সেনাবহর শহরময় ছড়িয়ে শুরু করে গণহত্যা।

 

অনুষ্ঠানে ২৫ মার্চ কালরাতে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ব‍্যারিকেডের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় ও “ব‍্যারিকেড ৭১” নামে একটি নাটক মঞ্চস্থ করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে একটি মোমবাতি মিছিল কেআইবি থেকে শুরু হয়ে ফার্মগেটে অবস্থিত প্রথম ব‍্যারিকেডস্থলে গিয়ে শেষ হয়।   সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com