ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ দূতাবাস আঙ্কারায় যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে তুরস্কে জাতীয় শোক দিবস এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক কর্তৃক দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করণ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং দিবসটি স্মরণে কালো ব্যাজ পরিধানের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
এসময় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির সামনে ৭৫’ এর ১৫ আগস্টে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের স্মরণে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। অতঃপর দূতাবাসের বিজয় একাত্তর মিলনায়তনে দিবসটি উপলক্ষে মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপরে নির্মিত একটি প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্ত করে শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতাই এনে দেননি বরং স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে এবং বাঙালি জাতির মূল্যবোধ ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। বাঙালি জাতির কল্যাণে ও তাদের অধিকার নিশ্চিতকল্পে বঙ্গবন্ধু আমৃত্যু নিরলস পরিশ্রম করে গেছেন এবং সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকারীরা বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনাকে বাংলাদেশের আপামর জনতার মন থেকে যেমন মুছে ফেলতে পারেনি তেমনিভাবে আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতিকেও স্থায়ীভাবে বাধাগ্রস্থ করতে পারেনি। ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ আজ একটি সম্মানজনক অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। এরপর রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর লেখা ‘বেদনায় ভরা দিন’ নিবন্ধনটি সকলকে পড়ে শোনান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়চেতা নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল বিশ্বের দেশগুলোর জন্য রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক ৭৫’ এর ১৫ আগস্টে নিহত শহীদদের সকলের রুহের মাগফিরাত কামনায় শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে তুরস্কের ১৫০ জন এতিম শিশুদের দূতাবাসে আমন্ত্রণ জানান এবং তাদেরকে বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের সকলের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। পরিশেষে, এতিম শিশুদের সকলকে আপ্যায়নের মাধ্যমে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন