ফ্রান্স-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের অর্ধশত বছরপূর্তি উপলক্ষে ফ্রান্সে আয়োজন করা হয় ‘ফ্রাঙ্কো-বাংলা ফ্রেন্ডশিপ ফেস্টিভ্যাল’।
প্যারিসের উপশহর ‘স্তা’ স্টেডিয়াম ফ্রান্সের তরুণ রাজনীতিবিদ এবং স্তা মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলর কৌশিক রাব্বানী খানের প্রতিষ্ঠান অফিওরা’র আয়োজনে ও বাংলাদেশের দূতাবাসের সহযোগিতায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল খ্যাতিমান ব্যান্ড তারকা নগর বাউল জেমস।
প্রায় ৫ হাজার প্রবাসীদের উপস্থিতিতে ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ এ কনসার্টে জেমসের পাশাপাশি শ্রোতাদের সুরের মূর্ছনায় মাতিয়েছেন জনপ্রিয় ব্যান্ডদল শিরোনামহীন,‘আইলারে নয়া দামান’ খ্যাত শিল্পী মুজা ও প্যারিসের স্থানীয় শিল্পীবৃন্দ ।
ফ্রঁসে আভেক রাব্বানীর প্রতিষ্ঠাতা কৌশিক রাব্বানী খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা, স্তা মেরির মেয়র আজেদী তাইবি, শাহ গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহ আলম সুমন, অর্পির ডিরেক্টর ওদিন তুয়াতি, কো-ডিরেক্টর ফারুক খান,অফিওরার জেনারেল সেক্রেটারি শুভ দাস, অমি ভয়াজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তানজিম হোসাইন ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা বলেন, পদ্মা সেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী পরিকল্পনার ফসল, নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা সেতু বাংলাদেশের গর্ব, আত্মনির্ভরশীলতা ও আত্মমর্যাদার প্রতীক।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে এবং সামনের দিনগুলোতে প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশ দু’টির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও গভীর ও সম্প্রসারিত করার অপার সম্ভাবনা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে সিলেট সুনামগঞ্জ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য তহবিল সংগ্রহের জন্য বিসিএফ ও ইপিএস বাংলার তত্ত্বাবধানে দুইটি ডোনেশন বাক্সে প্রায় ২৫০০ ইউরো (প্রায় ২,৫০,০০০ টাকা) সংগ্রহ করা হয়, একটি চ্যারিটি স্টল দেয়া হয় এবং প্রতিটি প্রবেশ টিকেট থেকে ১ ইউরো (প্রায় ১০০ টাকা) করে আলাদা ত্রাণ তহবিল গঠন করা।
প্রায় দু বছর করোনার ধকলের পরে প্রবাসের ব্যস্ততম সময়ে একই অনুষ্ঠানে বন্ধু,বান্ধব ,স্বজনদের দেখা পেয়ে কুশল বিনিময়ের সাথে সাথে ঘুরে বেড়ানো,ছবি তোলা,দেশীয় মুখরোচক খাবার গ্রহণ, গান বাজনা আর আড্ডাবাজিতে আনন্দে মেতে ছিলেন প্রবাসীরা।
বিকেল গড়ানোর আগেই ‘স্তা’ স্টেডিয়ামের দৃষ্টিনন্দন সবুজ মাঠের যেদিকেই চোখ যায় সেদিকেই শুধু বাংলাদেশির পদচারণা, সবমিলে প্রায় পাঁচ হাজার নারী, পুরুষ আর শিশুদের কলকাকলি, প্রাণের আবেগ-উচ্ছ্বাসে বিদেশের মাটি রূপান্তরিত হয় এক টুকরো বাংলাদেশে।