ফাঁসির পলাতক আসামি জেএমবির রউফ গ্রেফতার

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) ইসাবা গ্রুপের (সামরিক শাখা) মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)। গ্রেফতার ব্যক্তির নাম মো. সানোয়ার হোসেন ওরফে আ. রউফ (৪৪)। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে।

 

রোববার  দুপুরে এটিইউয়ের পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস) মোহাম্মদ আসলাম খান জাগো নিউজকে এসব তথ্য জানান। গ্রেফতার সানোয়ার ১০ বছর ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে থেকে পুরাতন জেএমবিকে সক্রিয় করার কাজ করছিলেন বলেও জানান তিনি।

এটিইউয়ের এই কর্মকর্তা বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে এটিইউ চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল থানার (মামলা নম্বর ১৬, ২৬/৪/২০১২) মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সানোয়ার হোসেনের ওপর নজরদারি করছিলো।

 

‘এক পর্যায়ে এটিইউয়ের একটি চৌকস আভিযানিক দল জানতে পারে সানোয়ার নওগাঁ জেলার পত্নীতলা থানার ছোট চাঁদপুর এলাকায় আব্দুল্লাহ নামে আত্মগোপন করে আছে। সেখানে সে রাজমিস্ত্রী হিসেবে কাজ করছে ও ভেড়া লালন-পালন করে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেখান থেকে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।

 

আসলাম খান আরও জানান, সানোয়ার ২০০০ সালের পরে শায়খ আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে জেএমবির সদস্যভূক্ত হয়। তখন সে হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার হিসেবে নাচোল ও গোমস্তাপুরে জেএমবির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিল। ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে শায়খ আব্দুর রহমানের ফাঁসি হয়। এর বেশ কিছুদিন পর মাওলানা সাইদুর রহমান জেএমবির আমীর হয়। পরবর্তীতে তারা তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখে।

 

‘দলীয় কোন্দলের কারণে ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল জেএমবি’র স্বঘোষিত আমীর সালমানকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানার খুলশী বোরিয়া আমবাগান এলাকায় কৌশলে ডেকে নিয়ে গিয়ে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করা হয়। হত্যার পর তার মাথা ও দেহ ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে এ ঘটনায় গ্রেফতার হয় আ. শাকুর ও জাহাঙ্গীর। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মহানন্দা নদীর তীর থেকে পুঁতে রাখা সালমানের মাথাটি উদ্ধার করা হয়।

 

এরপর ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত সালমান হত্যা মামলায় গ্রেফতার সানোয়ারসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» অপারেশন ডেভিল হান্টকে স্বাগত জানালেন নুরুল হক নুর

» ঢামেকে চান্স পাওয়া দরিদ্র শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান

» গাজীপুরে হাসনাত-সারজিসের নেতৃত্বে সড়ক অবরোধ

» বৈষম্যহীন শক্তিশালী বাংলাদেশ গড়তে হবে: সালাহউদ্দিন

» সারা দেশে কর্মসূচি ডেকেছে বিএনপি

» বিপিএলের সেরা একাদশে চমক! তামিম অধিনায়ক, জায়গা পেলেন যারা

» দিল্লি জয় করে যা বললেন মোদি

» নিরাপত্তা নিশ্চিতে সুপ্রিমকোর্টে প্রবেশে পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার অনুরোধ

» ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা শুরু

» প্রধান অতিথি সম্রাট হোসেন দোয়েল বগুড়ার গাবতলীতে ছাত্রদলের  সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

ফাঁসির পলাতক আসামি জেএমবির রউফ গ্রেফতার

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) ইসাবা গ্রুপের (সামরিক শাখা) মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)। গ্রেফতার ব্যক্তির নাম মো. সানোয়ার হোসেন ওরফে আ. রউফ (৪৪)। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে।

 

রোববার  দুপুরে এটিইউয়ের পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস) মোহাম্মদ আসলাম খান জাগো নিউজকে এসব তথ্য জানান। গ্রেফতার সানোয়ার ১০ বছর ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে থেকে পুরাতন জেএমবিকে সক্রিয় করার কাজ করছিলেন বলেও জানান তিনি।

এটিইউয়ের এই কর্মকর্তা বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে এটিইউ চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল থানার (মামলা নম্বর ১৬, ২৬/৪/২০১২) মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সানোয়ার হোসেনের ওপর নজরদারি করছিলো।

 

‘এক পর্যায়ে এটিইউয়ের একটি চৌকস আভিযানিক দল জানতে পারে সানোয়ার নওগাঁ জেলার পত্নীতলা থানার ছোট চাঁদপুর এলাকায় আব্দুল্লাহ নামে আত্মগোপন করে আছে। সেখানে সে রাজমিস্ত্রী হিসেবে কাজ করছে ও ভেড়া লালন-পালন করে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেখান থেকে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।

 

আসলাম খান আরও জানান, সানোয়ার ২০০০ সালের পরে শায়খ আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে জেএমবির সদস্যভূক্ত হয়। তখন সে হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার হিসেবে নাচোল ও গোমস্তাপুরে জেএমবির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিল। ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে শায়খ আব্দুর রহমানের ফাঁসি হয়। এর বেশ কিছুদিন পর মাওলানা সাইদুর রহমান জেএমবির আমীর হয়। পরবর্তীতে তারা তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখে।

 

‘দলীয় কোন্দলের কারণে ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল জেএমবি’র স্বঘোষিত আমীর সালমানকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানার খুলশী বোরিয়া আমবাগান এলাকায় কৌশলে ডেকে নিয়ে গিয়ে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করা হয়। হত্যার পর তার মাথা ও দেহ ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে এ ঘটনায় গ্রেফতার হয় আ. শাকুর ও জাহাঙ্গীর। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মহানন্দা নদীর তীর থেকে পুঁতে রাখা সালমানের মাথাটি উদ্ধার করা হয়।

 

এরপর ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত সালমান হত্যা মামলায় গ্রেফতার সানোয়ারসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com