ছবি সংগৃহীত
সকলের প্রচেষ্টা থাকলে গ্রামীণ ব্যাংকের মতো বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংকও আন্তর্জাতিক পরিসরে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ।
আজ সকালে রাজধানীর কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংকের ৪৭তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. হুমায়রা সুলতানা’র সভাপতিত্বে উক্ত বার্ষিক সাধারণ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোসাম্মৎ শাহানারা খাতুন এবং সমবায় অধিদফতরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা বলেন, একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে ৭৫ বছর পূর্বে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেড প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সেই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে বিচ্যুত করা যাবে না। সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেডকে বিশ্ব দরবারে রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সমবায় আইন হতে হবে সরল রৈখিক। যাতে সমাজের সকল স্তরের মানুষ আইনটি অনুধাবন করতে পারে। সমবায় সমিতিগুলোতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত সমিতি পরিচালনা করবেন। এর ব্যত্যয় ঘটতে দেওয়া যাবে না। সকলের প্রচেষ্টা থাকলে গ্রামীণ ব্যাংকের মতো বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংকও আন্তর্জাতিক পরিসরে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সচিব মোসাম্মৎ শাহানারা খাতুন বলেন, সমবায় ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে অবশ্যই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বিদ্যমান থাকতে হবে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সৎ ও দক্ষ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ সব সময় সহায়তা প্রদান করবে। বার্ষিক সাধারণ সভার অঙ্গীকার হোক দক্ষতা ও সততার সঙ্গে গণমুখী সমবায় আন্দোলন গড়ে তোলা।
বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে যোগ্য নেতৃত্ব এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিয়ে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. হুমায়রা সুলতানা বলেন, সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেড আরও শক্তিশালী হবে। বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংকের হারানো গৌরব ফিরে পাবে এবং ব্যাংকের সকল সমিতির স্বার্থ সংরক্ষণ কল্পে ব্যাংকটির কাজ করার পাশাপাশি বাংলাদেশের সমবায় খাতের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের ৪৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় আমাদের অঙ্গীকার হোক প্রতিটি সমবায় সমিতিতে যোগ্য নেতৃত্ব ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। সূএ: ঢাকা মেইল ডটকম