পদ্মাসেতুর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববাসী আরেকবার জানল বাংলাদেশের অহং, আবেগ ও আভিজাত্যের জৌলুশ। রোববার থেকে যান চলাচল শুরু হবে সেতুর ওপর দিয়ে। দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সেতুটিতে থাকছে ডিজিটাল টোল আদায় পদ্ধতি। সেতুতে যানবাহন থেকে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে টোল আদায় করতে মাত্র দুই থেকে তিন সেকেন্ড সময় লাগবে বলে জানিয়েছে সেতু বিভাগ।
এর আগে ১৭ মে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পরিবহনের জন্য আলাদা আলাদা টোল হার নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
পদ্মা সেতু পার হতে সর্বনিম্ন টোল দিতে হবে মোটরসাইকেল আরোহীকে। মোটরসাইকেলের জন্য টোল নির্ধারণ হয়েছে ১০০ টাকা, কার ও জিপ ৭৫০ টাকা, পিকআপ এক হাজার ২০০ টাকা, মাইক্রোবাস এক হাজার ৩০০ টাকা। ছোট বাস (৩১ আসন বা এর কম) এক হাজার ৪০০ টাকা, মাঝারি বাস (৩২ আসন বা এর বেশি) দুই হাজার টাকা এবং বড় বাস (৩ এক্সেল) দুই হাজার ৪০০ টাকা।
ছোট ট্রাক (৫ টন পর্যন্ত) এক হাজার ৬০০ টাকা, মাঝারি ট্রাক (৫ টনের অধিক থেকে ৮ টন পর্যন্ত) দুই হাজার ১০০ টাকা, মাঝারি ট্রাক (৮ টনের অধিক থেকে ১১ টন পর্যন্ত) দুই হাজার ৮০০ টাকা, ট্রাক (৩ এক্সেল পর্যন্ত) পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা এবং চার এক্সেলের ট্রেইলারের টোল ৬ হাজার টাকার বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার দিন থেকেই এই টোল হার কার্যকর হবে।
পদ্মাসেতুতে মোট ১৪টি টোল বুথের মধ্যে ১০টি চালু করা হবে। তারমধ্যে দুটি ইটিসি বুথে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে টোল নেওয়া হবে। বাকি আটটিতে টোল নেয়া হবে ম্যানুয়ালি।