বিএনপির উদ্দেশ্যে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া আর তারেক জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার পর বিএনপির নেতা কে? কাকে নিয়ে তারা ক্ষমতায় যাবে? তাদের প্রস্তাবিত প্রধানমন্ত্রী কে? আসলে বিএনপি ভালোভাবেই জানে, তাদের কোনো নেতা নেই। নেতা ছাড়া কোনো রাজনীতি হয় না, নির্বাচনও হয় না। তাই বিএনপি নির্বাচনে যেতে চায় না, তারা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ভুল করতে চায়, তারা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে নস্যাৎ করতে চায়। যুবলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলছি, আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত যদি কোনো ষড়যন্ত্র ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে তাদের কঠোরভাবে প্রতিহত করবেন।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি জানে, তাদের দুর্নীতি, দুঃশাসন আর জনবিচ্ছিন্নতার কারণে মানুষ তাদের ভোট দেবে না। বিএনপি মধ্যযুগীয় কায়দায় জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। অগ্নিদগ্ধদের কষ্টের কথা, অগ্নিসন্ত্রাসে স্বজন হারানো মানুষের কান্না কি দেশের জনগণ ভুলে গেছে? ওই নারকীয় অগ্নিসন্ত্রাসের কথা মানুষ ভুলে যায়নি। বিএনপি নামক অগ্নিসন্ত্রাসীদের মানুষ ভোট দেবে না।
আজ শনিবার রাজধানীতে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত ‘বিএনপি-জামায়াতচক্রের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য ও অপতৎপরতার’ বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সমাবেশ শেষে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে জিরো পয়েন্ট হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
শেখ পরশ বলেন, ‘বিএনপি জানে, তাদের জন্য মানুষের কাছে কেবল ঘৃণাই রয়েছে, মানুষ তাদের বিশ্বাস করে না। আর সে কারণেই তারা নির্বাচনে যেতে চায় না। যার ফলে আগামী নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতা চালাচ্ছে বিএনপি। তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ইতোমধ্যেই কর্মসূচির নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। নিজেরাই নিজেদের মধ্যে হানাহানি করছে। কিন্তু দোষ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকারের ওপরে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে জয়ী, মুক্তিকামী বাঙালি তাদের এই অশুভ তৎপরতাকে নস্যাৎ করবে। ’
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ‘কোনো নেতা নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধের কারণে দণ্ডপ্রাপ্ত হলে পৃথিবীর কোনো দেশেই তিনি রাজনীতি করতে কিংবা নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না। খালেদা জিয়া যে অপরাধের কারণে দণ্ডপ্রাপ্ত, এ ধরনের নৈতিক স্খলনজণিত অপরাধের অভিযোগ পৃথিবীর খুব কম রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধেই শোনা যায়। আমাদের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী দণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি নির্বাচন করতে পারে না। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত ইতোমধ্যে খালেদা জিয়াকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করেছে।
তিনি জানান, ‘তারেক জিয়া বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাসহ পুরো আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে হত্যার জন্য ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। সেই গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৩ জন নেতা কর্মী নিহত হন। ২১ আগস্ট খুনের দায়ে তারেক জিয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক। ঠাণ্ডা মাথার এই খুনি দুর্নীতির মামলায়ও ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এবং আরেক মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ড। সংবিধান ও আইন অনুযায়ী খুনি তারেক জিয়াও নির্বাচন করতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি এদেশে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি এবং এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নষ্ট করে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে নস্যাৎ করার লক্ষ্যে ১০ ট্রাক অবৈধ অস্ত্র পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়েছিল। বাংলাদেশের মানুষ জানে, বিএনপির হাতে এদেশের সার্বভৌমত্ব নিরাপদ নয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় তারেক জিয়া এদেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। সেই অবৈধ টাকাই এখন বিদেশে লবিস্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে।
যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ একটি স্লোগান নিয়ে আজ রাজপথে দাঁড়িয়েছে, সেটা হলো দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারী বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও যুবসমাজ। মার্চ মাস বাঙালি জাতির জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস, এই মাসের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং এ মাসেই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। আগামী ৭ মার্চ সারাদেশব্যাপী বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাজিয়ে জানান দিবো বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, শেখ হাসিনার বাংলায় দেশবিরোধী শক্তি বিএনপি-জামায়াতের অবস্থান থাকতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘আজকে কেন এই বিক্ষোভ সমাবেশ, মিছিল? শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, দেশ যখন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে, তখন হঠাৎ করে ষড়যন্ত্র সৃষ্টি করছে স্বাধীনতাবিরোধী, পাকিস্তানের দালালেরা। তারা চায় না দেশ এগিয়ে যাক, তারা চায় দেশের উন্নয়নের গতিরোধ করতে। আমি বিএনপি জামায়াতের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, নিশ্চয় ১/১১-এর কথা মনে আছে, ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির তাণ্ডবের কথা বাদই দিলাম। ২০০৬ সালের পর মাইনাস-২ ফর্মূলায় যখন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হলো তখন এ দেশের সাধারণ মানুষ ও যুবসমাজ দেশীয় ষড়যন্ত্র ও বিদেশি শক্তির রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে মুক্ত করে এনেছিল। কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র আর নৈরাজ্য সৃষ্টি করে লাভ হবে না। যেখানেই ষড়যন্ত্র করবেন সেখানেই আপনাদের দাঁত ভাঙা জবাব দিবে যুবলীগ।
সমাবেশে বক্তব্য দেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য- মঞ্জুর আলম শাহিন, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দিন খসরু, সোহেল পারভেজ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক মো. হারিছ মিয়া শেখ সাগর, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, সহ-সম্পাদক আবির মাহমুদ ইমরান, কাযনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহমেদ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. নবী নেওয়াজ, মো. এনামুল হক খান, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজ উদ্দিন আহমেদ, মো. জসিম উদ্দিন মাতুব্বর, মো. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. জহির উদ্দিন খসরু, মো. সোহেল পারভেজ, মশিউর রহমান চপল, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মীর মো. মহিউদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মো. আবদুল মুকিত চৌধুরী, ধর্ম সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান সরদার, মহিলা সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুক্তা আক্তার, উপ-অর্থ সম্পাদক সরিফুল ইসলাম দুর্জয়, উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক মো. সফেদ আশফাক আকন্দ তুহিন, উপ-ত্রাণ সম্পাদক মো. আলতাফ হোসেন, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মো. রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফজলে রাব্বী স্মরণ, উপ-ক্রীড়া সম্পাদক মো. আবদুর রহমান, উপ-পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক সামছুল ইসলাম পাটোয়ারী, উপ-কৃষি ও সমবায় সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মো. গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণা বৈদ্য, সহ-সম্পাদক গোলাম ফেরদৌস ইব্রামি, মো. মাইদুল ইসলাম, ব্যারিস্টার আরফাত হোসেন খান, জামিল আহমেদ, মো. আবদুর রহমান জীবন, নাজমুল হুদা ওয়ারেছী চঞ্চল, মো. আলমগীর হোসেন শাহ জয়, মো. কামরুল হাসান লিংকন, মো. বাবলুর রহমান বাবলু, হিমেলুর রহমান হিমেল, মো. রাশেদুল ইসলাম সাফিন, সাইফুল ইসলাম সাইফ, মো. মনিরুজ্জামান পিন্টু, মো. মনিরুল ইসলাম আকাশ, কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু, প্রফেসর মো. জাহাঙ্গীর আলম, কায়কোবাদ ওসমানী, অ্যাডভোকেট মো. নাজমুল হুদা নাহিদ, মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, অ্যাডভোকেট এম এ কামরুল হাসান খান আসলাম, মো. হুমায়ুন কবির, মো. আবু হাসান সিদ্দিকী মিলন, অ্যাডভোকেট মো. গোলাম কিবরিয়া, প্রফেসর ড. মো. আরশেদ আলী আশিক, আবুল কালাম আজাদ, শাম্মি খান, ইঞ্জিনিয়ার প্রতীক ঘোষ, জি এম গাফফার হোসেন, রাজু আহমেদ ভিপি মিরান, ইঞ্জি. মো. মুক্তার হোসেন চৌধুরী কামাল, অ্যাডভোকেট মো. শওকত হায়াত, ইঞ্জি. মো. আসাদুল্লা তুষার, মানিক লাল ঘোষ, মো. মুজিবুর রহমান মুজিব, মো. তারিক আলম মাহমুদ, ইঞ্জিনিয়ার মো. শহিদুল ইসলাম সরকার, এ বি এম আরিফ হোসেন, মো. ওলিদ হোসেন, ডা. মো. আওরঙ্গজেব আরু, অ্যাডভোকেট মো. সাজেদুর রহমান চৌধুরী বিপ্লব, বিকাশ চন্দ্র হাওলাদারসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।,