নিত্যপণ্যে অসহনীয় উত্তাপ, কম দামের আশায় ফুটপাতে ভিড়

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ফুটপাতে বা ভ্যান গাড়িতে করে শাক-সবজি ও মাছ বিক্রি করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। প্রায় প্রতিটি আবাসিক এলাকা মহল্লায় এ ধরনের বাজার বসে। বিক্রেতাদের দোকান ভাড়া, পরিবহনসহ অন্যান্য খরচ কম থাকায় বাজারের থেকে কিছুটা কম দামে বিক্রি করতে পারেন তারা। আগে এসব ফুটপাতের দোকানে নিম্ন শ্রেণির মানুষদেরকে বেশি দেখা যেত। এখন মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্তদেরকেও এসব বাজারগুলোতে দেখা যাচ্ছে।

 

শনিবার (১২ মার্চ) সরেজমিনে দেখা গেছে— রাজধানীর মালিবাগ কাঁচাবাজারের পাশাপাশি বাজারের পূর্ব মাথায় ফুটপাতে বিক্রি হচ্ছে শাকসবজি ও মাছ। মাত্র কয়েকশ মিটারের দূরত্বে এখানে জিনিসপত্রের দাম তুলনামূলক বেশ কম। মালিবাগে ফুটপাতে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজির পসরা সাজিয়ে বসেছে ক্ষুদ্র বিক্রেতারা। এছাড়াও মহিলারা পেঁয়াজ, আদা, রসুনের ভাগা সাজিয়ে বসেছে। যা প্রতি ভাগা বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ৩০ টাকায়।

এখানে বাজার করতে আসা রুস্তম আলি বলেন, বাজারে সব কিছুরই তো এখন দাম বেশি। বাজারের থেকে এখানে দাম কিছুটা কম তাই এখান থেকেই নিয়মিত বাজার করি।

 

আরেক নারী ক্রেতা বলেন, জিনিসপত্রের যে হারে দাম বাড়ছে আমাদের মতো মানুষদের দিন পার করা কষ্টকর হয়ে গেছে। যেখানে দুই পয়সা কমে পাই সেখান থেকে বাজার করি।

 

রাজধানীর উত্তর মুগদা ঝিলপার এলাকার ফুটপাতেও সকালে এই ধরনের বাজার বসতে দেখা যায়। সেখানেও বড় বাজারগুলো থেকে তুলনামূলক কম দামে বিক্রি হচ্ছে শাক-সবজি ও মাছ।

 

মালিবাগ কাঁচাবাজারে একটি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে— ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। শালগমের (ওল কপি) কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। লাউ প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। লালশাকের আঁটি ১৫ টাকা, পালংশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা।

 

যা মাত্র কয়েকশ মিটারের ব্যবধানে পূর্বপার্শ্বের ফুটপাতের দোকানে বিক্রি হচ্ছে— ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়, পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। শিম প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা। লাউ প্রতি পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকা। লালশাকের আঁটি ১০ টাকা, পালংশাক হচ্ছে ১০ টাকায় আঁটি, দুই আঁটি একসঙ্গে নিলে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

এছাড়াও বাজারে গোল বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, যা ফুটপাতে বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩৫ টাকা। লম্বা বেগুন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ফুটপাতে বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা।

মালিবাগের ফুটপাতের এক বিক্রেতা জানান, আমাদের দোকান ভাড়া নাই। বিদ্যুৎ বিল নাই। তাই কম দামে দিতে পারি।

সূএ:পূর্ব পশ্চিম ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» আগামীতে ট্যাগিংয়ের রাজনীতি চলবে না: শিবির সেক্রেটারি

» শেখ হাসিনা তার বাবার মৃত্যুর চূড়ান্ত প্রতিশোধ নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে: মামুনুল হক

» বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস মার্কিন প্রতিনিধি দলের

» ময়মনসিংহে শেখ হাসিনা, কাদেরের বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলা

» গণঅভ্যুত্থানে সর্বশক্তি দিয়ে রাজপথে ছিল বিএনপি : মির্জা ফখরুল

» আগামী বুধবার  আংশিক চন্দ্রগ্রহণ

» ছাত্র আন্দোলনে দুই হাতে গুলি চালানো সেই যুবলীগ নেতা ৫ দিনের রিমান্ডে

» মামলায় নাম থাকলেই গ্রেফতার নয় : ডিএমপি কমিশনার

» অভিমত নিরপরাধ কেউ যেন ঢালাও মামলার শিকার না হন

» ভুলেও যেসব পাসওয়ার্ড সেট করবেন না

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

নিত্যপণ্যে অসহনীয় উত্তাপ, কম দামের আশায় ফুটপাতে ভিড়

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ফুটপাতে বা ভ্যান গাড়িতে করে শাক-সবজি ও মাছ বিক্রি করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। প্রায় প্রতিটি আবাসিক এলাকা মহল্লায় এ ধরনের বাজার বসে। বিক্রেতাদের দোকান ভাড়া, পরিবহনসহ অন্যান্য খরচ কম থাকায় বাজারের থেকে কিছুটা কম দামে বিক্রি করতে পারেন তারা। আগে এসব ফুটপাতের দোকানে নিম্ন শ্রেণির মানুষদেরকে বেশি দেখা যেত। এখন মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্তদেরকেও এসব বাজারগুলোতে দেখা যাচ্ছে।

 

শনিবার (১২ মার্চ) সরেজমিনে দেখা গেছে— রাজধানীর মালিবাগ কাঁচাবাজারের পাশাপাশি বাজারের পূর্ব মাথায় ফুটপাতে বিক্রি হচ্ছে শাকসবজি ও মাছ। মাত্র কয়েকশ মিটারের দূরত্বে এখানে জিনিসপত্রের দাম তুলনামূলক বেশ কম। মালিবাগে ফুটপাতে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজির পসরা সাজিয়ে বসেছে ক্ষুদ্র বিক্রেতারা। এছাড়াও মহিলারা পেঁয়াজ, আদা, রসুনের ভাগা সাজিয়ে বসেছে। যা প্রতি ভাগা বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ৩০ টাকায়।

এখানে বাজার করতে আসা রুস্তম আলি বলেন, বাজারে সব কিছুরই তো এখন দাম বেশি। বাজারের থেকে এখানে দাম কিছুটা কম তাই এখান থেকেই নিয়মিত বাজার করি।

 

আরেক নারী ক্রেতা বলেন, জিনিসপত্রের যে হারে দাম বাড়ছে আমাদের মতো মানুষদের দিন পার করা কষ্টকর হয়ে গেছে। যেখানে দুই পয়সা কমে পাই সেখান থেকে বাজার করি।

 

রাজধানীর উত্তর মুগদা ঝিলপার এলাকার ফুটপাতেও সকালে এই ধরনের বাজার বসতে দেখা যায়। সেখানেও বড় বাজারগুলো থেকে তুলনামূলক কম দামে বিক্রি হচ্ছে শাক-সবজি ও মাছ।

 

মালিবাগ কাঁচাবাজারে একটি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে— ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। শালগমের (ওল কপি) কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। লাউ প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। লালশাকের আঁটি ১৫ টাকা, পালংশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা।

 

যা মাত্র কয়েকশ মিটারের ব্যবধানে পূর্বপার্শ্বের ফুটপাতের দোকানে বিক্রি হচ্ছে— ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়, পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। শিম প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা। লাউ প্রতি পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকা। লালশাকের আঁটি ১০ টাকা, পালংশাক হচ্ছে ১০ টাকায় আঁটি, দুই আঁটি একসঙ্গে নিলে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

এছাড়াও বাজারে গোল বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, যা ফুটপাতে বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩৫ টাকা। লম্বা বেগুন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ফুটপাতে বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা।

মালিবাগের ফুটপাতের এক বিক্রেতা জানান, আমাদের দোকান ভাড়া নাই। বিদ্যুৎ বিল নাই। তাই কম দামে দিতে পারি।

সূএ:পূর্ব পশ্চিম ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com