সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি,নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার দেওভোগ আদর্শনগরে একটি ডোবা থেকে দেহবিহীন নারীর মাথা উদ্ধারের রহস্য পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তাকে কয়েক টুকরো করে খন্ডিত অংশ ফ্রিজে রেখে একে একে ফেলে দেওয়া হয় ওই ডোবাতে।
২৪ ফেব্রুয়ারী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) টুকরো করা অংশগুলো উদ্ধার করে। এর আগে গ্রেপ্তার করা হয় ঘাতক রাসেলকে (২৯)। সে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার ঝুমুরগঞ্জ গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
পিবিআই এর নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম জানান, রাসেলের সঙ্গে তানজিনার প্রেম ছিল। পরে তারা স্বামী পরিচয়ে বসবাস শুরু করেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম দেওভোগ আদর্শ নগরে একটি ভবনের তৃতীয় তলার ফ্ল্যাট বাসায়। তানজিনা রাসেলের মৃত বোনের স্বামী মোস্তফা সহ আরো কয়েকজনের সঙ্গে পরকীয়া শুরু করেন। বিষয়টি নিয়ে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। ২০২১ সালের ২৯ মার্চ শবে বরাতের রাত ৩টায় কলহের জের ধরে রাসেল ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের ঘরে থাকা বটি দিয়ে তানজিনাকে হত্যা করে। পরে হাত পা সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গ টুকরো টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দেয়। আসামী পরে বিভিন্ন সময়ে খন্ডিত দেহের বিভিন্ন অঙ্গ তার বাসার ছাদ থেকে পার্শ্ববর্তী ময়লার স্তুপের মধ্যে ফেলে দেয়। এই ঘটনার পরে আসামি তার ভাড়া বাসা ছেড়ে হাড়ি পাতিল ও হত্যার কাজে ব্যবহৃত বটি নিয়ে গোপনে পালিয়ে যায়। রাসেল বিভিন্ন সময়ে নামে বেনামে ২০টি মোবাইল এবং ২৫টি সিম ব্যবহার করে এবং তার অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার এনায়েতপুর থেকে রাসেলকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পিবিআই।
নারায়ণগঞ্জ পিবিআই উপ পরিদর্শক (এসআই) শাকিল হোসেন বলেন, রাসেল তার স্ত্রীর দেহ কয়েক টুকরো করে বাড়ির পাশের ওই ডোবায় ফেলে দেয়। তখন রাসেল তার বাড়িওয়ালা সিরাজ খানকে জানান তার স্ত্রী তানজিনা করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মারা গেছে।
Facebook Comments Box