র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, নতুন বছরে জঙ্গিরা নতুন করে আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তবে কোনো সংকট তৈরি হলে সেটি মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা সবসময় শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও আমাদের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছে। আমরা সেই অনুযায়ী নিরাপত্তা সাজিয়ে থাকি।’
আজ (৩১ ডিসেম্বর) রাতে গুলশান ২ নম্বর মোড়ে নতুন বছর উদযাপন উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
গুলশান ও বারিধারাকেন্দ্রিক বাড়তি নিরাপত্তার পেছনে কোনো ধরনের হুমকি রয়েছে কি না, জানতে চাইলে র্যাব ডিজি বলেন, গুলশান এলাকা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এ এলাকায় দূতাবাস, ফাইভ স্টার হোটেল, সমাজের উচ্চবিত্তদের বসবাস রয়েছে। সবকিছু বিবেচনা করে আমরা বাড়তি নিরাপত্তা দিচ্ছি।
ইংরেজি নববর্ষে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে র্যাব প্রধান বলেন, ডিএমপি থেকে বেশকিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এগুলো সবাইকে মেনে চলার অনুরোধ করছি। উন্মুক্ত স্থানে ও ছাদে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান করা যাবে না। তবে ফাইভ স্টার হোটেলের অনুষ্ঠানে বাধা নেই।
বাড়তি নিরাপত্তা উৎসবে কোনো বাধা সৃষ্টি করছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাদকসেবন ও উচ্ছৃঙ্খল আচারণ ঠেকানোর জন্য আমরা মাঠে আছি। এজন্যই আমরা একটু কঠোরতা নিয়ে থাকি। সারাদেশে মানুষ উৎসব করবে। কিন্তু নিয়মের মধ্যে থেকে করবে। সারা বিশ্বের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে নববর্ষের ভিন্ন আয়োজন থাকে। তেমনি আমাদের দেশেও গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মানুষের চাপ বেশি থাকে। এজন্যই আমরা এসব এলাকাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি।
র্যাবপ্রধান আরও বলেন, তরুণরা গুলশানকেদ্রিক। তারা মোটরসাইকেল, গাড়িসহ বিভিন্নভাবে এ এলাকায় আসতে চান। আমরা কাউকে নববর্ষ উদযাপনে বাধা দিচ্ছি না। কিন্তু এটা তো পারিবারিকভাবে পালন করা যায়। আবার আমরা আধুনিকতা পছন্দ করি। কিন্তু এর নামে আমরা বেহায়াপনা করি, সেটাও সমাজ মেনে নেবে না। এসব বিষয় মাথায় রেখেই আমরা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছি।