সপ্তাহের শুরুতে ভারী বৃষ্টিপাতে প্রলয়ঙ্করী বন্যার মুখোমুখি হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। পূর্ব উপকূলীয় প্রদেশে বন্যায় ১৩,৬০০ মানুষ গৃহহীন হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেশটির মুদ্রায় কয়েক বিলিয়ন র্যান্ড (৬৮.৩ মিলিয়ন ডলার)। কোয়াজুলু-নাটাল প্রদেশে বন্যার কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বিদ্যুৎ সরবরাহ, বন্ধ হয়ে গেছে সুপেয় পানি পরিষেবা।
দক্ষিণ আফ্রিকার অর্থমন্ত্রী এনোক গোডংওয়ানা জানান, ‘‘বাড়িঘর এবং রাস্তাগুলো ধুয়ে গেছে এবং হাজার হাজার মানুষ বিদ্যুৎ এবং পানি ছাড়াই আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে।’’ খবর রয়টার্স।
এদিকে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ৩৯৫ জনের লাশ, নিখোঁজদের সন্ধান অব্যাহত রয়েছে।
পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, আটকে থাকা গ্যাসের তাপে উষ্ণ হয়ে ওঠছে ভারত মহাসাগর। ফলে আফ্রিকার দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠছে। ভবিষ্যতে অঞ্চলটি আরও প্রলয়ঙ্করী ঝড় এবং বন্যার সম্মুখীন হবে।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি সিরিল রামাফোসা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের পর এটিকে ‘স্পষ্টতই জলবায়ু পরিবর্তনের ফল’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। রাষ্ট্রপতি রামাফোসা বলেন, ‘‘জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের যা করা দরকার তা আমরা আর স্থগিত করতে পারি না। আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা একটি উচ্চ স্তরে থাকা দরকার।’