বঙ্গবন্ধু ত্রিকালদর্শী পুরুষ ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু অতীত জানতেন, বর্তমান বুঝতেন ও ভবিষ্যত পড়তে পারতেন। তার ইতিহাসবোধ বাঙালি জাতীকে দিকনির্দেশনা দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর অসহযোগ আন্দোলন ছিল গান্ধীর অহিংস আন্দোলনের সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরণ।
আজ জাতীয় প্রেস ক্লাসে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও অদম্য বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের সোনার বাংলা গড়ার পথ দেখিয়েছেন। বাঙালির চাওয়া, দাবি, আশা ও আকাঙ্ক্ষা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
তিনি বলেন, মানুষের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা খুব গভীর ছিল। তার ডাকে সব মানুষ এক হয়ে যেতো। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ভাষণের মধ্যে অনেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে বললেও তিনি তা দেননি। তিনি ভবিষ্যৎ বাণী করতে পারতেন। তার ভিত্তিতে সব পদক্ষেপ নিতেন। বঙ্গবন্ধু ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলেছেন। ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীন নয়, বরং সব ধর্মের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে বলেছেন।
এসময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান বলেন, একজন মহানায়ক দেশে বারবার আসে না, একবার জন্ম নেন। বঙ্গবন্ধু হচ্ছেন সেই মহানায়ক। তার মতো করে এমন ত্যাগ আর কেউ করতে পারেনি। তিনি আমাদের আশ্রয় ও পথচলার নির্দেশদাতা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রের ভীত স্থাপন করেছেন।
জাগো নিউজের উপ-সম্পাদক ড. হারুন রশীদ বলেন, পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেছে, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। দেশের শীর্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে চায় শিক্ষার্থীরা। অভিভাবকরাও চান তাদের সন্তান শীর্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হোক। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মানে সমতা আনা সম্ভব হলে এ প্রতিযোগিতা বন্ধ হবে। এর মাধ্যমে আমাদের শিক্ষারমান আরও বাড়বে।
রাজধানীর তীব্র যানজট নিয়েও কথা বলেন তিনি। যানজটের কারণে নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। এটি দেশকে পিছিয়ে দিচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্টের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাস, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ড. কামাল উদ্দিন আহমদ প্রমুখ।