টেনেটুনে অষ্টম শ্রেণি পাস করেছিলেন তাইজুল ইসলাম লিটন। এক পর্যায়ে গ্রামের দোকান থেকে কম্পিউটারে প্রশিক্ষণ নেন। সেটি সম্বল করে এক পর্যায়ে চাকরি নেন রাজধানীর নীলক্ষেতে এক কম্পিউটারের দোকানে। সেখানেই রপ্ত করেন জাল সনদ তৈরির পাঠ। এ লিটন এখন জাল সনদ তৈরি বাদ দিয়ে তৈরি করছেন জাল মুদ্রা। এ জন্য পুরান ঢাকার লালবাগের একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে রীতিমতো খুলে বসেছিলেন ‘টাকশাল’। সূএ:আরটিভি
রোজা আর ঈদসহ নানা উৎসবে টাকার লেনদেন বেড়ে যায়। সে সুযোগে লিটনও দলবল নিয়ে তার টাকশালে জাল মুদ্রা তৈরি করছিলেন দিনে-রাতে। টার্গেট ছিল ঈদে দেশে ছড়িয়ে দেবেন কয়েক কোটি টাকার জাল নোট। কিন্তু পরিকল্পনা আলোর মুখ দেখল না। শেষ পর্যন্ত গোয়েন্দা জালে ধরা পড়তে হয়েছে তাকে।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) লালবাগে জাল মুদ্রা তৈরির কারখানায় হানা দিয়ে গ্রেপ্তার করে লিটনকে। ধরা পড়েছে তার ৩ সহযোগীও।
কথিত সেই টাকশাল থেকে ২০ লাখ টাকা মূল্যের জাল নোট ও ভারতীয় দেড় লাখ জাল রুপি জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সেখানে মেলে জাল মুদ্রা তৈরিতে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, প্রিন্টার, বিভিন্ন ধরনের কালি, স্ক্রিন ফ্রেম, বিশেষ ধরনের কাগজ, রাসায়নিক, স্ক্যানার মেশিন, কাটার ও স্কেল। এ সব সরঞ্জাম দিয়ে লাখ লাখ জাল নোট তৈরি সম্ভব বলে বলছেন কর্মকর্তারা।