সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : নভেম্বর মাসের শেষ দিক হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই সমুদ্রের পানির তাপমাত্রা কিছুটা কম এখন। ফলে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত গভীর নিম্নচাপটি এখনো ঘূর্ণিঝড় হওয়ার মতো শক্তি সঞ্চয় করতে পারেনি। তবে এর ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা এখনো রয়েছে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদরা।
সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশে আঘাত না হানলেও এর প্রভাবে দেশের ঢাকাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি হলে ও সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে গেলে আকাশ মেঘমুক্ত হয়ে যেতে পারে। এতে আগামী (ডিসেম্বর) মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই সারা দেশে তাপমাত্রা অনেকটা কমতে পারে। শীত জেঁকে বসতে পারে দেশের অনেক অঞ্চলেই। কোনো কোনো অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে শৈত্যপ্রবাহও।
এ বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বৃহস্পতিবার রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় হলে এর প্রভাবে দেশে কিছুটা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া এর তেমন কোনো প্রভাব নেই আমাদের এখানে। তবে বৃষ্টি হয়ে আকাশ মেঘমুক্ত হয়ে গেলে দেশে শীতের তীব্রতা অনেকটাই বাড়তে পারে। ৬ বা ৭ ডিসেম্বরের দিকে সারা দেশেই তাপমাত্রা অনেক কমে যেতে পারে। দু-একটি অঞ্চলে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে শৈত্যপ্রবাহের মতো পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে।
বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া, ১২.১ ডিগ্রি। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত এটিই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। কমবেশি শীত অনুভূত হচ্ছে দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও। উত্তরের বাতাস ঘুরে বেড়াচ্ছে রাজধানীর অলি-গলিতেও। ফলে সকালে ও রাতে ঢাকাতেও শীত অনুভূত হচ্ছে নভেম্বর মাসেই।
এদিকে, চার বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে দুপুর ১২ টায় একই এলাকায় (৯.২° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮২.০° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সে. বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে ।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে ।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে ।