রাতের অন্ধকারে সিঁদ কেটে বাড়িতে ঢুকেছিল, বাড়ির মালিকের অবর্তমানেই ফাঁকা করে দিয়েছিলেন গোটা আলমারি। গৃহকর্তারা বাড়ি ফিরে দেখেন, আলমারি হাঁ করে খোলা, যাবতীয় গয়নাগাটি থেকে শুরু করে টাকা-পয়সা- সমস্ত কিছুই চুরি হয়ে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের দ্বারস্থ হন তারা। কিন্তু পুলিশকে তদন্তই করতে হল না, তার আগেই বাড়ির ঠিকানায় এল একটি পার্সেল। সেই বাক্স খুলতেই দেখা গেল, চুরি যাওয়া যাবতীয় গয়নাগাটি ভরা রয়েছে সেই বাক্সে।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের গাজিয়াবাদে। সেখানেই একটি হাউসিং কমপ্লেক্স থেকে চুরি হয়। কিন্তু দিন কয়েক কাটতে না কাটতেই বাড়ির ঠিকানায় একটি পার্সেল আসে। সেই পার্সেলের ভিতর থেকে খোয়া যাওয়া যাবতীয় গয়নাগাটি উদ্ধার হয়। গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত বাড়ি মালিক থেকে শুরু করে পুলিশ-প্রশাসন।
জানা গিয়েছে, মোট ১৫-১৬ লক্ষ টাকার গয়না চুরি হয়েছিল। তার মধ্যে সাড়ে চার লক্ষ টাকার গয়না ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন চোর।
গাজিয়াবাদের ফরচুন রেসিডেন্সির একটি ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা অক্টোবরের শেষভাগে নিজেদের পৈত্রিক বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেই সময় বাড়ি সম্পূর্ণ ফাঁকা ছিল। গত ২৩ অক্টোবর রাতের অন্ধকারে তালা ভেঙে বাড়িতে ঢোকে চোর। আলমারি ভেঙে কয়েক লক্ষ টাকার গয়নাগাটি চুরি করে। দিন কয়েক বাদে বাড়ি ফিরতেই চুরির বিষয়টি জানতে পারেন গৃহকর্তা। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে অভিযোগ জানান তিনি।
তবে তদন্ত শুরু হওয়ার আগেই ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়। ডাক পোস্টে বাড়ির ঠিকানায় একটি পার্সেল আসে। সেই বাক্স খুলতেই দেখা যায়, চুরি যাওয়া গয়না ভরা রয়েছে তাতে। কে বা কারা এই পার্সেল পাঠিয়েছেন, তার কোনও কিছুই উল্লেখ ছিল না। সঙ্গে সঙ্গে তারা পুলিশের কাছে বিষয়টি জানান। গোটা ঘটনা শুনে হতবাক হয়ে যান পুলিশও।
স্থানীয় থানার এক আধিকারিক বলেন, “কেন হঠাৎ চোর গয়নাগুলি ফেরত পাঠিয়ে দিল, তা বোঝা যাচ্ছে না। আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজে চোরকে দেখা গিয়েছে। এছাড়া পার্সেলের সূত্র ধরেও ওই চোরকে ধরার চেষ্টা করছি আমরা।” সূত্র: ইন্ডিয়া ডটকম