খালেদার ‌‘দেশনেত্রী’ উপাধিকে চ্যালেঞ্জ করলেন শেখ পরশ

ছবি: সংগৃহীত

 

যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, ১৫ আগস্টে আপনি কীভাবে জন্মদিন পালন করেন? আপনি নাকি দেশনেত্রী। আওয়ামী লীগ এ দেশের একটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দল, এদেশের জনগোষ্ঠীর একটি বৃহৎ অংশ বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসে, নেতা মানে। তাহলে আপনি কীভাবে সেই জনগোষ্ঠীকে অবহেলা, উপেক্ষা করে জন্মদিন পালন করেন? আপনি তো শিশু রাসেলকে দেখেছেন, কোলে নিয়েছেন তাহলে কীভাবে পারেন? আমি আপনার দেশনেত্রী উপাধিকে চ্যালেঞ্জ করছি। খালেদা জিয়া দেশনেত্রী তো দূরের কথা ‘নেত্রী’ হওয়ার যোগ্যতা রাখেন না।

 

আজ  বিকেলে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ অফিস ভবনের অডিটোরিয়ামে ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের উদ্যোগে ‘১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টে শহীদদের স্মরণে’ আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

 

পরশ আরও বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কালজয়ী মহানায়কদের অনেকেই রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। কিন্তু এ সব হত্যাকাণ্ডের মধ্যে একাধিক কারণে সবচেয়ে বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড হচ্ছে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ড। এটি শুধু একটা রাজনৈতিক ব্যক্তির হত্যাকাণ্ড ছিল না, এটি ছিল সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে জন্মের পরেই গলা টিপে হত্যা করা, নবজাতক দেশকে শিকলে বেঁধে ফেলা এবং নব্য উদ্ভাসিত জাতিসত্তার পরিচয় মুছে ফেলা।

 

পরশ  বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে নিকৃষ্ট এবং বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড। কারণ এ হত্যাকাণ্ডের নির্বিচারে শিকার হয়েছিল এমন একটি পরিবার যারা আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিল। আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, শেখ আবু নাসের, শেখ ফজলুল হক মণি, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শহীদ সেরনিয়াবাত এরা সবাই প্রকৃত দেশপ্রেমী মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেকেই মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন।

 

পরশ  আরও বলেন, বিএনপি হিংসার রাজনীতি করে, বাংলা ভাইয়ের মতো জঙ্গি সৃষ্টি করে, বোমাবাজির রাজনীতি করে, হত্যার রাজনীতি করে, লাশের রাজনীতি করে। বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল, যারা পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা এবং একটা এলিট শ্রেণির স্বার্থ রক্ষা করে নিজেদের টিকিয়ে রাখার জন্য। আজকে বাংলার যুব সমাজ বিএনপির রাজনীতি এদেশে নিষিদ্ধ করার দাবি করছে। বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধ করা এই প্রগতিশীল ও উন্নয়নশীল বাংলাদেশের সময়ের দাবি। বিএনপির সৃষ্টি হয়েছিল এদেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রতে পরিণত করতে, তারা মানুষের অধিকার হনন করতে পারদর্শী।

 

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দিন খসরু, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. শেখ নবীরুজ্জামান বাবু, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, সহ-সম্পাদক এ কে এম মুক্তাদির রহমান শিমুল, কার্যনির্বাহী সদস্য রাজু আহমেদ ভিপি মিরান, বজলুল করিম মীর, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের সহ-সভাপতি সাব্বির আলম লিটু, মজিবুর রহমান বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর রহমান, সিদ্দিক বিশ্বাস, শিবলী সাদিক, মামুন সরকার প্রমুখ।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» নরসিংদী পলাশে ছাত্রদলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

» সেনাপ্রধানের সঙ্গে ইউএস আর্মি অফিসারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

» আলোচনা ছাড়া স্ট্যাটাস দিতেও ‘মানা’ এনসিপি নেতাদের

» চাঁদাবাজির জন্ম দিয়েছে আওয়ামী লীগ : টুকু

» গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে ওয়েবসাইট উদ্বোধন

» প্রধান উপদেষ্টার পূর্ণাঙ্গ ভাষণ

» চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক শুক্রবার

» অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

» ফ্যাসিবাদের পতনে গণতন্ত্রের পথচলা নিশ্চিত করার সুযোগ এসেছে : তারেক রহমান

» জামালপুরে পুলিশের দোয়া ও ইফতার মাহফিল

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

খালেদার ‌‘দেশনেত্রী’ উপাধিকে চ্যালেঞ্জ করলেন শেখ পরশ

ছবি: সংগৃহীত

 

যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, ১৫ আগস্টে আপনি কীভাবে জন্মদিন পালন করেন? আপনি নাকি দেশনেত্রী। আওয়ামী লীগ এ দেশের একটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দল, এদেশের জনগোষ্ঠীর একটি বৃহৎ অংশ বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসে, নেতা মানে। তাহলে আপনি কীভাবে সেই জনগোষ্ঠীকে অবহেলা, উপেক্ষা করে জন্মদিন পালন করেন? আপনি তো শিশু রাসেলকে দেখেছেন, কোলে নিয়েছেন তাহলে কীভাবে পারেন? আমি আপনার দেশনেত্রী উপাধিকে চ্যালেঞ্জ করছি। খালেদা জিয়া দেশনেত্রী তো দূরের কথা ‘নেত্রী’ হওয়ার যোগ্যতা রাখেন না।

 

আজ  বিকেলে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ অফিস ভবনের অডিটোরিয়ামে ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের উদ্যোগে ‘১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টে শহীদদের স্মরণে’ আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

 

পরশ আরও বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কালজয়ী মহানায়কদের অনেকেই রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। কিন্তু এ সব হত্যাকাণ্ডের মধ্যে একাধিক কারণে সবচেয়ে বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড হচ্ছে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ড। এটি শুধু একটা রাজনৈতিক ব্যক্তির হত্যাকাণ্ড ছিল না, এটি ছিল সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে জন্মের পরেই গলা টিপে হত্যা করা, নবজাতক দেশকে শিকলে বেঁধে ফেলা এবং নব্য উদ্ভাসিত জাতিসত্তার পরিচয় মুছে ফেলা।

 

পরশ  বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে নিকৃষ্ট এবং বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড। কারণ এ হত্যাকাণ্ডের নির্বিচারে শিকার হয়েছিল এমন একটি পরিবার যারা আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিল। আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, শেখ আবু নাসের, শেখ ফজলুল হক মণি, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শহীদ সেরনিয়াবাত এরা সবাই প্রকৃত দেশপ্রেমী মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেকেই মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন।

 

পরশ  আরও বলেন, বিএনপি হিংসার রাজনীতি করে, বাংলা ভাইয়ের মতো জঙ্গি সৃষ্টি করে, বোমাবাজির রাজনীতি করে, হত্যার রাজনীতি করে, লাশের রাজনীতি করে। বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল, যারা পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা এবং একটা এলিট শ্রেণির স্বার্থ রক্ষা করে নিজেদের টিকিয়ে রাখার জন্য। আজকে বাংলার যুব সমাজ বিএনপির রাজনীতি এদেশে নিষিদ্ধ করার দাবি করছে। বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধ করা এই প্রগতিশীল ও উন্নয়নশীল বাংলাদেশের সময়ের দাবি। বিএনপির সৃষ্টি হয়েছিল এদেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রতে পরিণত করতে, তারা মানুষের অধিকার হনন করতে পারদর্শী।

 

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দিন খসরু, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. শেখ নবীরুজ্জামান বাবু, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, সহ-সম্পাদক এ কে এম মুক্তাদির রহমান শিমুল, কার্যনির্বাহী সদস্য রাজু আহমেদ ভিপি মিরান, বজলুল করিম মীর, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের সহ-সভাপতি সাব্বির আলম লিটু, মজিবুর রহমান বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর রহমান, সিদ্দিক বিশ্বাস, শিবলী সাদিক, মামুন সরকার প্রমুখ।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com