কিচেন সিঙ্ক নির্বাচনে যা খেয়াল রাখতে হবে

রান্নাঘরের গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ সিঙ্ক। তাই রান্নাঘর তৈরির সময়ই নিজের প্রয়োজন মতো একটি সুন্দর সিঙ্ক বেছে নেয়া ভালো। এক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই সব সমস্যার সমাধান হতে পারে। আজকাল নানা রকমের সিঙ্ক পাওয়া যায় বাজারে। একটি আন্ডারমাউন্ট বা ড্রপ-ইন সিঙ্ক বেছে নেয়ার আগে তার মেটিরিয়াল ও আকার-আকৃতি সবটা ভালো করে বুঝে নেয়া জরুরি।

 

ম্যাটারিয়াল: রান্নাঘরের সিঙ্ক বেছে নেয়ার সময় সবার আগে দেখতে হবে সিঙ্কটি কী দিয়ে তৈরি। স্টেইনলেস স্টিল, পোর্সেলিন বা ঢালাই লোহার সিঙ্ক কেনা যেতে পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রে নিজের প্রয়োজনকে গুরুত্ব দিতে হবে। স্টেইনলেস স্টিলের সিঙ্কগুলো সেরা বলে মনে করেন বেশিরভাগ মানুষ। কারণ এগুলি টেকসই, পরিষ্কার করাও সহজ। তবে কেউ ভিনটেজ লুক চাইলে পোর্সেলিনের সিঙ্ক বেছে নিতে পারেন।

 

আকার: আজকাল নানা আকৃতির সিঙ্ক পাওয়া যায়। কাজের সুবিধা মতো বেছে নিতে হবে। সিঙ্গল বোল না ডবল বোল হবে তা নির্ভর করবে রান্নাঘরের পরিমাপের উপর। বেশিরভাগ সময় আয়তাকার সিঙ্কই পাওয়া যায়। তবে একটু খুঁজলে বর্গাকার থেকে ডিম্বাকৃতি সিঙ্কও পাওয়া যায়। ফলে নিজের রুচি ও রান্নাঘরের নকশা অনুযায়ী বেছে নিতে হবে।

 

আন্ডার-মাউন্ট না টপ-মাউন্ট সিঙ্ক: আন্ডার-মাউন্ট সিঙ্কগুলো কাউন্টার টপের নিচে লাগানো হয়। এই ধরনের সিঙ্কে একটি রিম থাকে, যা কাউন্টারের নিচে লাগানো থাকে বলে দেখা যায় না। এগুলি শক্ত কাউন্টারটপ যেমন গ্রানাইট, মার্বেল ইত্যাদির সঙ্গেই লাগানো প্রয়োজন। এগুলো একটু দামি হয়ে থাকে। অন্য দিকে, টপ-মাউন্ট বা ড্রপ-ইন কিচেন সিঙ্ক বেস ক্যাবিনেটের উপরে কাট-আউটে লাগিয়ে নিতে হয়। এগুলো কিছুটা সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়ায় যায় আর ইনস্টল করাও সহজ।

 

আনুষঙ্গিক: শুধু সিঙ্কের আকার প্রকারে মন দিলেই চলবে না। বরং পানির কল কেমন হবে তাও ভেবে নিতে হবে। রান্নাঘরের নকশা এবং নিজের প্রয়োজন অনুসারে কল লাগাতে হবে। সেক্ষেত্রে ক্লাসিক টু-নব ট্যাপ লাগানো হলে অবশ্যই একটি নবে স্প্রে বা শাওয়ার আর্ম লাগানো যেতে পারে। তাতে কাজের অনেক সুবিধা হবে।   সূত্র: নিউজ বাংলা ১৮

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» নরসিংদী পলাশে ছাত্রদলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

» সেনাপ্রধানের সঙ্গে ইউএস আর্মি অফিসারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

» আলোচনা ছাড়া স্ট্যাটাস দিতেও ‘মানা’ এনসিপি নেতাদের

» চাঁদাবাজির জন্ম দিয়েছে আওয়ামী লীগ : টুকু

» গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে ওয়েবসাইট উদ্বোধন

» প্রধান উপদেষ্টার পূর্ণাঙ্গ ভাষণ

» চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক শুক্রবার

» অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

» ফ্যাসিবাদের পতনে গণতন্ত্রের পথচলা নিশ্চিত করার সুযোগ এসেছে : তারেক রহমান

» জামালপুরে পুলিশের দোয়া ও ইফতার মাহফিল

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

কিচেন সিঙ্ক নির্বাচনে যা খেয়াল রাখতে হবে

রান্নাঘরের গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ সিঙ্ক। তাই রান্নাঘর তৈরির সময়ই নিজের প্রয়োজন মতো একটি সুন্দর সিঙ্ক বেছে নেয়া ভালো। এক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই সব সমস্যার সমাধান হতে পারে। আজকাল নানা রকমের সিঙ্ক পাওয়া যায় বাজারে। একটি আন্ডারমাউন্ট বা ড্রপ-ইন সিঙ্ক বেছে নেয়ার আগে তার মেটিরিয়াল ও আকার-আকৃতি সবটা ভালো করে বুঝে নেয়া জরুরি।

 

ম্যাটারিয়াল: রান্নাঘরের সিঙ্ক বেছে নেয়ার সময় সবার আগে দেখতে হবে সিঙ্কটি কী দিয়ে তৈরি। স্টেইনলেস স্টিল, পোর্সেলিন বা ঢালাই লোহার সিঙ্ক কেনা যেতে পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রে নিজের প্রয়োজনকে গুরুত্ব দিতে হবে। স্টেইনলেস স্টিলের সিঙ্কগুলো সেরা বলে মনে করেন বেশিরভাগ মানুষ। কারণ এগুলি টেকসই, পরিষ্কার করাও সহজ। তবে কেউ ভিনটেজ লুক চাইলে পোর্সেলিনের সিঙ্ক বেছে নিতে পারেন।

 

আকার: আজকাল নানা আকৃতির সিঙ্ক পাওয়া যায়। কাজের সুবিধা মতো বেছে নিতে হবে। সিঙ্গল বোল না ডবল বোল হবে তা নির্ভর করবে রান্নাঘরের পরিমাপের উপর। বেশিরভাগ সময় আয়তাকার সিঙ্কই পাওয়া যায়। তবে একটু খুঁজলে বর্গাকার থেকে ডিম্বাকৃতি সিঙ্কও পাওয়া যায়। ফলে নিজের রুচি ও রান্নাঘরের নকশা অনুযায়ী বেছে নিতে হবে।

 

আন্ডার-মাউন্ট না টপ-মাউন্ট সিঙ্ক: আন্ডার-মাউন্ট সিঙ্কগুলো কাউন্টার টপের নিচে লাগানো হয়। এই ধরনের সিঙ্কে একটি রিম থাকে, যা কাউন্টারের নিচে লাগানো থাকে বলে দেখা যায় না। এগুলি শক্ত কাউন্টারটপ যেমন গ্রানাইট, মার্বেল ইত্যাদির সঙ্গেই লাগানো প্রয়োজন। এগুলো একটু দামি হয়ে থাকে। অন্য দিকে, টপ-মাউন্ট বা ড্রপ-ইন কিচেন সিঙ্ক বেস ক্যাবিনেটের উপরে কাট-আউটে লাগিয়ে নিতে হয়। এগুলো কিছুটা সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়ায় যায় আর ইনস্টল করাও সহজ।

 

আনুষঙ্গিক: শুধু সিঙ্কের আকার প্রকারে মন দিলেই চলবে না। বরং পানির কল কেমন হবে তাও ভেবে নিতে হবে। রান্নাঘরের নকশা এবং নিজের প্রয়োজন অনুসারে কল লাগাতে হবে। সেক্ষেত্রে ক্লাসিক টু-নব ট্যাপ লাগানো হলে অবশ্যই একটি নবে স্প্রে বা শাওয়ার আর্ম লাগানো যেতে পারে। তাতে কাজের অনেক সুবিধা হবে।   সূত্র: নিউজ বাংলা ১৮

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com