দীর্ঘদিন তাণ্ডব চালানোর মাঝে বাংলাদেশে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছিল করোনার প্রকোপ। কয়েকদিন ধরে ফের বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা। মাঝে দিনে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ৩০ এর নিচে নেমে এলেও এখন সেই সংখ্যাটা বেড়ে দুই হাজার ছাড়িয়েছে। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির রোধে স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ ছয়টি নির্দেশনা জারি করেছে সরকার।
দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেলেও তা নিয়ে শঙ্কিত নন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তবে করোনার এমন পরিস্থিতিতে চিন্তিত হওয়ার কথা জানান তিনি।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনা নিয়ে চিন্তিত, তবে শঙ্কিত নই। করোনা মোবাবিলার জন্য আমাদের প্রস্তুতি আছে।
আজ সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) সই অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের হাসপাতালের উন্নয়ন চলমান আছে৷ হাসপাতালে তেমন রোগী নেই। রোগী এলে চিকিৎসা দেওয়ার পূর্ণ ব্যবস্থা আছে৷
এপিএ চুক্তি প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, এখন ভ্যাকসিন দেওয়া এবং করোনা নিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ কাজ। জনবল নিয়োগও গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এজন্য পরিকল্পনা নিতে হবে। এরপর মাঠে নামতে হবে।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যাতে কাজ সম্পন্ন হয়, সেদিকে নজর দেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের তাগিদ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে জুলাই মাসের শেষ দিকে ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেছেন, শিশুদের জন্য টিকা জুলাইতে হাতে আসবে। আর মাসটির শেষের দিকে এই কার্যক্রম চালু করা যাবে।