এবার চমেক মর্গে মৃতদের সঙ্গে যৌনাচার

মর্গে আবারও বিকৃত যৌনাচার। এবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ওই হাসপাতালে লাশঘরে শিশু ও এক নারীর মরদেহে বিকৃত যৌনাচারের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চমেক হাসপাতাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ ( সিআইডি)।

 

সিআইডির চট্টগ্রাম অঞ্চলের সিনিয়র পুলিশ সুপার মো. শাহনেওয়াজ খালেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

 

গ্রেপ্তার মো. সেলিম (৪৮) কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার সাতেশ্বর গ্রামের মৃত নোয়াব আলীর ছেলে। চমেক হাসপাতালের লাশঘরে অস্থায়ী ভিত্তিতে কাজ করতেন তিনি।

 

এর আগে ২০২০ সালের নভেম্বরে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুন্না ভগত নামে এক ডোম মরদেহের সঙ্গে যৌনাচার করে ধরা পড়েন।

 

সিআইডির কর্মকর্তারা জানান, ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার থানা পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর শিকার আনুমানিক ৩২ বছর বয়সী এক নারীর লাশ উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। একই বছরের ২৫ মে নগরীর চান্দগাঁও থানা পুলিশ ১২ বছর বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। তার মৃত্যুও ছিল অস্বাভাবিক। ময়নাতদন্তের সময় চমেকের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক ওই নারী ও শিশু মৃত্যুর আগে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন কি না, সেটা জানতে আলামত সংগ্রহ করে ঢাকায় সিআইডির ল্যাবে পাঠান। ল্যাবে পরীক্ষায় দু’জনের ভ্যাজাইনালে বীর্যের উপস্থিতি পাওয়া যায়। ডিএনএ পরীক্ষায় দেখা যায়, ওই বীর্য একই ব্যক্তির।

 

সিআইডির পুলিশ সুপার শাহনেওয়াজ খালেদ বলেন, ‘উভয়ের সুরতহাল প্রতিবেদনে দেখা যায়, মৃত্যুর আগে ধর্ষণের কোনো আলামত, বলপ্রয়োগে আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না। সাধারণত ময়নাতদন্তের জন্য লাশ আসার পর সেগুলো লাশঘরে কয়েক ঘণ্টা রেখে দেওয়া হয়। তখন সেখানে পাহারাদার ছাড়া তেমন কেউ থাকে না। আমরা অনুসন্ধানে নিশ্চিত হই, হাসপাতালের জরুরি বিভাগের লাশঘরে লাশগুলো যখন ছিল, তখন সুযোগ বুঝে সেলিম মৃতদেহগুলোর সঙ্গে বিকৃত যৌনসঙ্গমে লিপ্ত হয়।

 

সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ পাওয়ার পর সেলিমের বিরুদ্ধে ব্যভিচারের অভিযোগে দণ্ডবিধির ৩৭৭/১০৯ ধারায় সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) কৃঞ্চকমল ভৌমিক বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চমেক হাসপাতাল থেকে সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

শাহনেওয়াজ খালেদ জানান, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সেলিম দুই মৃতদেহের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচারের কথা স্বীকার করেছেন। সূূএ:ঢাকাটাইমস

 

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» পক্ষপাতহীনভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরুন: প্রধান উপদেষ্টা

» আরেক দফা কমল স্বর্ণের দাম

» জুলাই শহীদদের প্রেরণায় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়া সম্ভব : উপদেষ্টা মাহফুজ

» জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের নামে নামকৃত চত্বর ও সড়ক উদ্বোধন

» আ. লীগ নেতারা যেন লুকিয়ে নির্বাচনে না আসে: সিইসিকে ববি হাজ্জাজ

» জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ ৩ নেতাকে অব্যাহতি দিলেন জি এম কাদের

» আমরা কখনও আপস করিনি, দেশ গঠনের এই যাত্রাতেও করব না: নাহিদ ইসলাম

» কুমিল্লায় তিন মামলা থেকে খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি

» আগামী নির্বাচনে বিএনপি ৩৯%, জামায়াত ২১%, এনসিপি ১৬% ভোট পাবে মনে করে তরুণরা

» আমরা দেশের মানুষের জন্য যা ভালো তাই করছি : ফয়েজ তৈয়ব

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

এবার চমেক মর্গে মৃতদের সঙ্গে যৌনাচার

মর্গে আবারও বিকৃত যৌনাচার। এবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ওই হাসপাতালে লাশঘরে শিশু ও এক নারীর মরদেহে বিকৃত যৌনাচারের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চমেক হাসপাতাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ ( সিআইডি)।

 

সিআইডির চট্টগ্রাম অঞ্চলের সিনিয়র পুলিশ সুপার মো. শাহনেওয়াজ খালেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

 

গ্রেপ্তার মো. সেলিম (৪৮) কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার সাতেশ্বর গ্রামের মৃত নোয়াব আলীর ছেলে। চমেক হাসপাতালের লাশঘরে অস্থায়ী ভিত্তিতে কাজ করতেন তিনি।

 

এর আগে ২০২০ সালের নভেম্বরে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুন্না ভগত নামে এক ডোম মরদেহের সঙ্গে যৌনাচার করে ধরা পড়েন।

 

সিআইডির কর্মকর্তারা জানান, ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার থানা পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর শিকার আনুমানিক ৩২ বছর বয়সী এক নারীর লাশ উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। একই বছরের ২৫ মে নগরীর চান্দগাঁও থানা পুলিশ ১২ বছর বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। তার মৃত্যুও ছিল অস্বাভাবিক। ময়নাতদন্তের সময় চমেকের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক ওই নারী ও শিশু মৃত্যুর আগে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন কি না, সেটা জানতে আলামত সংগ্রহ করে ঢাকায় সিআইডির ল্যাবে পাঠান। ল্যাবে পরীক্ষায় দু’জনের ভ্যাজাইনালে বীর্যের উপস্থিতি পাওয়া যায়। ডিএনএ পরীক্ষায় দেখা যায়, ওই বীর্য একই ব্যক্তির।

 

সিআইডির পুলিশ সুপার শাহনেওয়াজ খালেদ বলেন, ‘উভয়ের সুরতহাল প্রতিবেদনে দেখা যায়, মৃত্যুর আগে ধর্ষণের কোনো আলামত, বলপ্রয়োগে আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না। সাধারণত ময়নাতদন্তের জন্য লাশ আসার পর সেগুলো লাশঘরে কয়েক ঘণ্টা রেখে দেওয়া হয়। তখন সেখানে পাহারাদার ছাড়া তেমন কেউ থাকে না। আমরা অনুসন্ধানে নিশ্চিত হই, হাসপাতালের জরুরি বিভাগের লাশঘরে লাশগুলো যখন ছিল, তখন সুযোগ বুঝে সেলিম মৃতদেহগুলোর সঙ্গে বিকৃত যৌনসঙ্গমে লিপ্ত হয়।

 

সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ পাওয়ার পর সেলিমের বিরুদ্ধে ব্যভিচারের অভিযোগে দণ্ডবিধির ৩৭৭/১০৯ ধারায় সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) কৃঞ্চকমল ভৌমিক বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চমেক হাসপাতাল থেকে সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

শাহনেওয়াজ খালেদ জানান, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সেলিম দুই মৃতদেহের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচারের কথা স্বীকার করেছেন। সূূএ:ঢাকাটাইমস

 

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com