করোনা মহামারি আবারও ঊর্ধ্বমুখী তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাতীয় ঈদগাহ ৩৫ হাজার মুসল্লি অংশ নিতে পারবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। আগে যেখানে এক লাখের মতো মুসল্লি অংশ নিতেন।
শনিবার দুপুরে জাতীয় ঈদগাহের প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, যেহেতু করোনা মহামারি আবারও ঊর্ধ্বমুখী সে জন্য সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে উপস্থিত হবেন। আমাদের যে সক্ষমতা, সে অনুযায়ী আমরা ৩৫ হাজার মুসল্লিদের আমন্ত্রণ করছি। ঈদুল আজহার প্রধান জামাতের জন্য জাতীয় ঈদগাহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আগামীকাল (রোববার) ঈদুল আজহার প্রধান জামাত জাতীয় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। গত ঈদুল ফিতরে মানুষ যেমন পরিবার নিয়ে ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করে সন্তোষজনকভাবে ফিরেছিলেন, আশা করছি এবারও সবাই একইভাবে ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
তাপস বলেন, কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে আমাদের বিশাল কর্মযজ্ঞ হয়। বিশেষ করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে, কোরবানির পশু ও হাটের বর্জ্য নিয়ে বিশাল কর্মযজ্ঞে থাকি। সেই প্রস্তুতি আমরা এরই মাঝে সম্পূর্ণ করেছি। আজ রাত ১১টা থেকে হাটের বর্জ্য অপসারণের কার্যক্রম শুরু হবে। আগামীকাল কোরবানির পরে দুপুর ২টা থেকে আমরা কোরবানির বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করব। আশা করি আগের মতো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে পারব। আমরা সে প্রস্তুতি নিয়েছি।
ডিএসসিসির মেয়ের তাপস বলেন, ঢাকাবাসীর কাছে নিবেদন করব, ঈদের দিন ও ঈদের পরের দিনের মধ্যে যেন সবাই কোরবানি সম্পন্ন করেন। অনেকে ঈদের তৃতীয় দিনেও কোরবানির পশু জবাই করেন। আমি নিবেদন করব, কেউ যেন তৃতীয় দিনের অপেক্ষা না করেন, সব কোরবানি যেন দ্বিতীয় দিনের মধ্যেই সম্পন্ন হয়। তাহলে আমরা বর্জ্য অপসারণের কাজ সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে পারব। কারণ তৃতীয় দিনে সিটি করপোরেশনের সব কর্মী ও কর্মকর্তারা বিশ্রামে যাবেন। এর আগে তারা টানা ৭২ ঘণ্টা বর্জ্য অপসারণের জন্য কাজ করবেন। তাদেরও বিশ্রামের প্রয়োজন রয়েছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে সকাল ৮টায় জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
বৃষ্টি হলে কী প্রস্তুতির কথা জানাতে গিয়ে মেয়র বলেন, যদি মুষলধারে বৃষ্টি হয়, তাহলে সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
স্বাস্থ্যবিধি মানা ছাড়া আর কোনো নির্দেশনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে যে স্বাস্থ্যবিধি দেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে মুখের আবরণ (মাস্ক) পরাটা যেন বাচ্চা থেকে শুরু করে সকলেই নিশ্চিত করেন। এছাড়া ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে যে স্বাস্থ্যবিধি দেওয়া হয়েছে সেসব অনুশাসন সবাইকে মানার অনুরোধ জানাচ্ছি।