ইসিকে একগুচ্ছ পরামর্শ দিয়ে সংবিধান অনুযায়ী ভোট চাইলো ইনুর জাসদ

নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক বিরোধে সালিশি সংস্থা নয় বলে মনে করে সভাপতি হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। কোনো রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে আসা না আসা নিয়ে মন্তব্য করতে পরামর্শ দিয়েছে জাসদ। একইসঙ্গে সংবিধান ও আইন অনুযায়ী যথাসময়ে আগামী নির্বাচনেরও দাবি করেছে ১৪ দলের এই শরিক দলটি।

 

আজ  নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে জাসদের পক্ষ থেকে এসব প্রস্তাব করেছে।

 

লিখিত প্রস্তাবে জাসদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংবিধান ও আইন অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকারসমূহের নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠানের কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব সংবিধান ও আইন অনুযায়ী যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচনসহ সকল নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে প্রস্তুত রাখতে হবে।

 

নির্বাচন কমিশনের রাজনৈতিক বিতর্কে না জড়ানো পরামর্শ দিয়ে জাসদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোনো নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ বা বর্জনের বিষয়টি একান্তই সেই রাজনৈতিক দলের নিজস্ব রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। কোনো রাজনৈতিক দলের কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ বা বর্জনের বিষয়সহ কোনো রাজনৈতিক বিতর্কেই নির্বাচন কমিশনের জড়িত হওয়া বা মতামত, বক্তব্য, মন্তব্য প্রদান করা উচিৎ নয়। নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক বিরোধে সালিশি সংস্থা নয়।

 

নির্বাচন নিয়ে অসাংবিধানিক ও আইন বহির্ভূত দাবিকে প্রশ্রয় না দেওয়ার দাবি করে নির্বাচন নিয়ে সংবিধান ও আইন বহির্ভূত কোনো অসাংবিধানিক ও আইনসম্মত নয় এমন কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য বা প্রস্তাবকে নির্বাচন কমিশনের প্রশ্রয় দেওয়া উচিত নয়।

 

নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনৈতিকদের দৌড়ঝাঁপ নিয়েও কথা বলে জাসদ। দলটির নেতাদের ভাষ্য, কিছু বিদেশি কূটনৈতিক বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কাজে কূটনৈতিক শিষ্টাচার পরিপন্থী এবং অযাচিতভাবে নাক গলিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের উচিত এ ধরনের কূটনৈতিক শিষ্টাচার পরিপন্থী অযাচিত নাক গলানোকে প্রশ্রয় না দেওয়া।

 

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ এবং নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার, ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব প্রসঙ্গে জাসদের ভাষ্য, জাতীয় নির্বাচনসহ অন্যান্য নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার, ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব নিয়ে কোনো সাংবিধানিক, আইনগত ও প্রশাসনিক ঘাটতি বা দূর্বলতা থাকলে তা দূর করার জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশসহ অন্যান্য নির্বাচনী আইনে কোনো পরিবর্তনের প্রয়োজন বা চাহিদা থাকলে নির্বাচন কমিশনের উচিৎ তা সুনির্দিষ্টভাবে আইনসভায় অর্থাৎ জাতীয় সংসদের কাছে উত্থাপন করা।

 

কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিও এমন প্রয়োজনবোধ করলে তা আইনসভায় অর্থাৎ জাতীয় সংসদের নিকট সুনির্দিষ্টভাবে উত্থাপন করতে পারেন।

 

ইভিএম নিয়ে জাসদ নেতাদের বক্তব্য হলো- ইসির ইভিএম পদ্ধতি সংযোজন এটা ইতিবাচক পদক্ষেপ। কিন্তু ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণে বাস্তবে কিছু সমস্যা চিহ্নিত হয়েছে। কিছু প্রশ্ন ও বিতর্কও তৈরি হয়েছে। তাই ইভিএম পদ্ধতিতে কারিগরীভাবে ত্রুটিমুক্ত ও বিশ্বাসযোগ্য কাজ করার পাশাপাশি ব্যালট পদ্ধতিতেও ভোট গ্রহণের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।

 

এছাড়া জাতীয় ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্তি, সংযোজন, বিয়োজন, সংশোধনের সমগ্র প্রক্রিয়াটি জটিল ও সময়সাপেক্ষ বলে মনে করে জাসদ। এটাকে আরও সহজ এবং দ্রুতগতিসম্পন্ন করার পাশাপাশি ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্র একই তথ্যপঞ্জিতে সমন্বিত করা এবং হালনাগাদকৃত তথ্য সবসময় ওয়েবসাইটে প্রকাশিত রাখার দাবি করেছে দলটি।

 

রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন নিয়ে জাসদের দাবি, গণপ্রতিনিধত্ব আদেশের কঠোর প্রয়োগ করে ধর্মভিত্তিক ও ধর্মীয় পরিচয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল এবং এ ধরনের দলকে নিবন্ধন প্রদান না করা।

 

একই নাম বা কাছাকাছি নামে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন না দেওয়ারও প্রস্তাব করে জাসদ।

নির্বাচনে ধর্মের ব্যবহার কঠোরভাবে নিষিদ্ধের দাবি করেছে জাসদ।

 

নির্বাচনী ব্যয়সীমা ও অবৈধ অর্থের ব্যবহার নিয়েও প্রস্তাব দেয় জাসদ। তারা নির্বাচনী ব্যয়সীমা যৌক্তিকীকরণ অর্থের ব্যবহার বন্ধের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানায়।

 

নির্বাচনকালে নির্বাহী বিভাগের ভূমিকা প্রসঙ্গে জাসদের প্রস্তাবে বলা হয়েছে- নির্বাচনকালে নির্বাচন কমিশনের চাহিদা মতো নির্বাহী বিভাগকে নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যস্ত, নির্বাহী বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন ও অসদাচারণের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

 

নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনবোধ করলে নির্বাচনকালে জনপ্রশাসনের কাজে প্রতিরক্ষা বাহিনীকে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটদের অধীনে কাজে লাগানোর দাবি করেছে জাসদ।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» অতীতের ‘বিতর্কিত’ পথে হাঁটতে চায় না ইসি

» রোহিঙ্গা শিবিরে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

» নাচতে গিয়ে আহত হৃতিক, সিনেমা মুক্তি কি পেছাবে?

» ধর্ষণকে নির্যাতন হিসেবে অভিহিত করায় ডিএমপি কমিশনারের দুঃখ প্রকাশ

» দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট

» রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১৪৪৫ মামলা

» লিবিয়ায় মানব পাচারকারী চক্রের প্রধান ঢাকায় বিমানবন্দরে আটক

» এমআরটি পুলিশের ২ জন বরখাস্ত, তদন্ত কমিটি গঠন

» ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

» অস্ত্র-গুলিসহ ডাকাত আটক

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

ইসিকে একগুচ্ছ পরামর্শ দিয়ে সংবিধান অনুযায়ী ভোট চাইলো ইনুর জাসদ

নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক বিরোধে সালিশি সংস্থা নয় বলে মনে করে সভাপতি হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। কোনো রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে আসা না আসা নিয়ে মন্তব্য করতে পরামর্শ দিয়েছে জাসদ। একইসঙ্গে সংবিধান ও আইন অনুযায়ী যথাসময়ে আগামী নির্বাচনেরও দাবি করেছে ১৪ দলের এই শরিক দলটি।

 

আজ  নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে জাসদের পক্ষ থেকে এসব প্রস্তাব করেছে।

 

লিখিত প্রস্তাবে জাসদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংবিধান ও আইন অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকারসমূহের নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠানের কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব সংবিধান ও আইন অনুযায়ী যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচনসহ সকল নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে প্রস্তুত রাখতে হবে।

 

নির্বাচন কমিশনের রাজনৈতিক বিতর্কে না জড়ানো পরামর্শ দিয়ে জাসদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোনো নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ বা বর্জনের বিষয়টি একান্তই সেই রাজনৈতিক দলের নিজস্ব রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। কোনো রাজনৈতিক দলের কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ বা বর্জনের বিষয়সহ কোনো রাজনৈতিক বিতর্কেই নির্বাচন কমিশনের জড়িত হওয়া বা মতামত, বক্তব্য, মন্তব্য প্রদান করা উচিৎ নয়। নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক বিরোধে সালিশি সংস্থা নয়।

 

নির্বাচন নিয়ে অসাংবিধানিক ও আইন বহির্ভূত দাবিকে প্রশ্রয় না দেওয়ার দাবি করে নির্বাচন নিয়ে সংবিধান ও আইন বহির্ভূত কোনো অসাংবিধানিক ও আইনসম্মত নয় এমন কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য বা প্রস্তাবকে নির্বাচন কমিশনের প্রশ্রয় দেওয়া উচিত নয়।

 

নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনৈতিকদের দৌড়ঝাঁপ নিয়েও কথা বলে জাসদ। দলটির নেতাদের ভাষ্য, কিছু বিদেশি কূটনৈতিক বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কাজে কূটনৈতিক শিষ্টাচার পরিপন্থী এবং অযাচিতভাবে নাক গলিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের উচিত এ ধরনের কূটনৈতিক শিষ্টাচার পরিপন্থী অযাচিত নাক গলানোকে প্রশ্রয় না দেওয়া।

 

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ এবং নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার, ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব প্রসঙ্গে জাসদের ভাষ্য, জাতীয় নির্বাচনসহ অন্যান্য নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার, ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব নিয়ে কোনো সাংবিধানিক, আইনগত ও প্রশাসনিক ঘাটতি বা দূর্বলতা থাকলে তা দূর করার জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশসহ অন্যান্য নির্বাচনী আইনে কোনো পরিবর্তনের প্রয়োজন বা চাহিদা থাকলে নির্বাচন কমিশনের উচিৎ তা সুনির্দিষ্টভাবে আইনসভায় অর্থাৎ জাতীয় সংসদের কাছে উত্থাপন করা।

 

কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিও এমন প্রয়োজনবোধ করলে তা আইনসভায় অর্থাৎ জাতীয় সংসদের নিকট সুনির্দিষ্টভাবে উত্থাপন করতে পারেন।

 

ইভিএম নিয়ে জাসদ নেতাদের বক্তব্য হলো- ইসির ইভিএম পদ্ধতি সংযোজন এটা ইতিবাচক পদক্ষেপ। কিন্তু ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণে বাস্তবে কিছু সমস্যা চিহ্নিত হয়েছে। কিছু প্রশ্ন ও বিতর্কও তৈরি হয়েছে। তাই ইভিএম পদ্ধতিতে কারিগরীভাবে ত্রুটিমুক্ত ও বিশ্বাসযোগ্য কাজ করার পাশাপাশি ব্যালট পদ্ধতিতেও ভোট গ্রহণের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।

 

এছাড়া জাতীয় ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্তি, সংযোজন, বিয়োজন, সংশোধনের সমগ্র প্রক্রিয়াটি জটিল ও সময়সাপেক্ষ বলে মনে করে জাসদ। এটাকে আরও সহজ এবং দ্রুতগতিসম্পন্ন করার পাশাপাশি ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্র একই তথ্যপঞ্জিতে সমন্বিত করা এবং হালনাগাদকৃত তথ্য সবসময় ওয়েবসাইটে প্রকাশিত রাখার দাবি করেছে দলটি।

 

রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন নিয়ে জাসদের দাবি, গণপ্রতিনিধত্ব আদেশের কঠোর প্রয়োগ করে ধর্মভিত্তিক ও ধর্মীয় পরিচয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল এবং এ ধরনের দলকে নিবন্ধন প্রদান না করা।

 

একই নাম বা কাছাকাছি নামে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন না দেওয়ারও প্রস্তাব করে জাসদ।

নির্বাচনে ধর্মের ব্যবহার কঠোরভাবে নিষিদ্ধের দাবি করেছে জাসদ।

 

নির্বাচনী ব্যয়সীমা ও অবৈধ অর্থের ব্যবহার নিয়েও প্রস্তাব দেয় জাসদ। তারা নির্বাচনী ব্যয়সীমা যৌক্তিকীকরণ অর্থের ব্যবহার বন্ধের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানায়।

 

নির্বাচনকালে নির্বাহী বিভাগের ভূমিকা প্রসঙ্গে জাসদের প্রস্তাবে বলা হয়েছে- নির্বাচনকালে নির্বাচন কমিশনের চাহিদা মতো নির্বাহী বিভাগকে নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যস্ত, নির্বাহী বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন ও অসদাচারণের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

 

নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনবোধ করলে নির্বাচনকালে জনপ্রশাসনের কাজে প্রতিরক্ষা বাহিনীকে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটদের অধীনে কাজে লাগানোর দাবি করেছে জাসদ।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com