রমনা থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ নিযে তার বিরুদ্ধে করা চার মামলার মধ্যে তিন মামলায় জামিন হয়েছে। তবে দুদকের মামলাল গ্রেপ্তার থাকায় এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না।
আজ ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার শুনানি শেষে দশ হাজার টাকা মুচলেখায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলি মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদকের করা মামলায় সম্রাট গ্রেপ্তার থাকায় এখনই তিনি মুক্তি পাচ্ছেন না। বুধবার (১৩ এপ্রিল) সম্রাটের উপস্থিতিতে এ মামলার জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
এর আগে রোববার অস্ত্র মামলায় ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ও অর্থপাচার মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন।
২০২১ সালের ২৪ মার্চ ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালতে তার তিনদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। অন্যদিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত তার উপস্থিতিতে রিমান্ড ও জামিন শুনানির জন্য রোববার (১০ এপ্রিল) দিন ধার্য করেন।
এর আগে কাকরাইলের বাসায় অবস্থান করে অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্জিত ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রমনা থানায় সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলাটি করে সিআইডি। সম্রাট কাকরাইলের বাসায় অবস্থান করে অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্জিত ১৯৫ কোটি টাকা সহযোগী এনামুল হক আরমানের (৫৬) সহায়তায় সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় পাচার করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
পরে ২০২১ সালের ২৪ মার্চ ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালতে তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
এরপর তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত তার উপস্থিতিতে রিমান্ড ও জামিন শুনানির জন্য রোববার (১০ এপ্রিল) দিন ধার্য করেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, সম্রাট রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন, কাকরাইল এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেন।
জানা যায়, সম্রাট ২০১১-২০১৯ সাল পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ৩৫ বার, মালয়েশিয়ায় তিনবার, দুবাইয়ে দুইবার এবং একবার হংকং ভ্রমণ করেন। একই সময়ে আরমান ২৩ বার ভ্রমণ করেন সিঙ্গাপুর।
২০১৯ সালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর সম্রাটের নাম উঠে আসে। এরপর থেকেই তাকে নিয়ে শুরু হয় নানা গুঞ্জন। অভিযান শুরুর পর কয়েকজন গ্রেপ্তার হলেও খোঁজ মেলেনি সম্রাটের। এসবের মধ্যে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এরপর ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামে আত্মগোপনে থাকা সম্রাট ও আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে ঢাকায় এনে তাদের করা হয় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ।
ওই দিন র্যাবের একটি দল কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে সম্রাটের কার্যালয়ে অভিযান শুরু করে। কার্যালয়ে অবৈধভাবে পশুর চামড়া রাখার দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।