আমরা চোখ বন্ধ করে থাকব এটা হতে পারে না : প্রধান বিচারপতি

কারও ভিটে-বাড়ি নিয়ে যাবেন আর আমরা চোখ বন্ধ করে থাকব এটা হতে পারে না। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার দায়ের করা মামলার শুনানিকালে রোববার (৩ মার্চ) রাষ্ট্রপক্ষকে উদ্দেশ করে এই মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। 

 

বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ কামান্ডারের জায়গা অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে সরকারের অধিগ্রহণ অবৈধ ঘোষণার রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানি হয়েছে রোববার।

 

আদালতে সরকারের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। অপরদিকে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আওসাফুর রহমান। শুনানির শুরুতে ১০ বছরেও মামলাটি শুনানির প্রস্তুতি না নেওয়ায় উষ্মা করে বলেন, ১০ বছরেও একটা মামলার প্রস্তুতি নিতে পারেন না, এটা লজ্জার।

 

শুনানির এক পর্যায়ে আপিল বিভাগ বলেন, যাদের মূল ভিটে-বাড়ি, আগে তাদের কথা ভাবতে হবে। একজনের ভিটে-বাড়ি নিয়ে যাবেন, আমরা চোখ বন্ধ রাখব, তাহলে দেশে কোর্ট-কাচারি থাকার দরকার কী? এ বিষয়ে আমরা চোখ বন্ধ করে থাকতে পারি না।

 

পরে আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল (সোমবার) দিন ধার্য করেন।

 

রাজধানীর মগবাজারের সাড়ে ১৯ শতাংশ জায়গার প্রকৃত মালিক বীরেন্দ্র কুমার নাথ। ১৯৪০ সালে আম মোক্তারনামা মূলে এই জায়গা সিরাজ কমান্ডারকে দিয়ে তিনি ভারতে চলে যান। সিরাজ কমান্ডার এই জায়গার হোল্ডিং ট্যাক্স, বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল পরিশোধ করে তার নামে মিউটেশন করে খারিজ করে নেন। জায়গার খাজনাও পরিশোধ করেন। সেখানে স্ত্রী সন্তানসহ বসবাস করতে থাকেন।

 

আওসাফুর রহমান আরও বলেন, ২০১০ সালের শেষের দিকে ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্দেশে পুলিশ তাদেরকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে। পরে এ বিষয়ে মামলা হয়।

 

পরে তারা জানতে পারেন এ জায়গা অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে অধিগ্রহণ করে বিসিএস প্রশাসন কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতিকে দেওয়া হয়েছে। ওই বছরই জায়গা অধিগ্রহণ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সিরাজ কমান্ডারের সন্তানরা। রিটের শুনানি নিয়ে ২০১২ সালে হাইকোর্ট অধিগ্রহণ অবৈধ ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে লিভ টু আপিল করে সরকার। সেই লিভ টু আপিল শুনানি চলছে।  সূএ:ঢাকা মেইল ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» অবশেষে এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চাইলেন ২ শতাধিক আন্দোলনকারী

» বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের বাঘের মুখ থেকে ফিরে এসেও রক্ষা নেই: ‘বাঘা সামাদ’ আজ নিঃস্ব, অবহেলিত

» বাগেরহাটে ভারি বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, থেমে গেছে বন্দর কার্যক্রম 

» নওগাঁয় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ইউপি সদস্য নিহত

» বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের লবণাক্ততার ছোবলে উপকূলজুড়ে বিলুপ্তির পথে বাঁশঝাড়

» বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের সাগরে একের পর এক ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত, বিপাকে লাখো জেলে ও ট্রলার মালিক

» অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা সিটি কলেজ উত্তপ্ত, পরীক্ষা স্থগিত

» ইসরায়েল যুদ্ধ চায়, ইরানও তৈরি

» মোবাইল সিমের বিষয়ে বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্ত

» আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারতে কুষ্টিয়ায় এনসিপির পদযাত্রা শুরু

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

আমরা চোখ বন্ধ করে থাকব এটা হতে পারে না : প্রধান বিচারপতি

কারও ভিটে-বাড়ি নিয়ে যাবেন আর আমরা চোখ বন্ধ করে থাকব এটা হতে পারে না। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার দায়ের করা মামলার শুনানিকালে রোববার (৩ মার্চ) রাষ্ট্রপক্ষকে উদ্দেশ করে এই মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। 

 

বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ কামান্ডারের জায়গা অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে সরকারের অধিগ্রহণ অবৈধ ঘোষণার রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানি হয়েছে রোববার।

 

আদালতে সরকারের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। অপরদিকে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আওসাফুর রহমান। শুনানির শুরুতে ১০ বছরেও মামলাটি শুনানির প্রস্তুতি না নেওয়ায় উষ্মা করে বলেন, ১০ বছরেও একটা মামলার প্রস্তুতি নিতে পারেন না, এটা লজ্জার।

 

শুনানির এক পর্যায়ে আপিল বিভাগ বলেন, যাদের মূল ভিটে-বাড়ি, আগে তাদের কথা ভাবতে হবে। একজনের ভিটে-বাড়ি নিয়ে যাবেন, আমরা চোখ বন্ধ রাখব, তাহলে দেশে কোর্ট-কাচারি থাকার দরকার কী? এ বিষয়ে আমরা চোখ বন্ধ করে থাকতে পারি না।

 

পরে আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল (সোমবার) দিন ধার্য করেন।

 

রাজধানীর মগবাজারের সাড়ে ১৯ শতাংশ জায়গার প্রকৃত মালিক বীরেন্দ্র কুমার নাথ। ১৯৪০ সালে আম মোক্তারনামা মূলে এই জায়গা সিরাজ কমান্ডারকে দিয়ে তিনি ভারতে চলে যান। সিরাজ কমান্ডার এই জায়গার হোল্ডিং ট্যাক্স, বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল পরিশোধ করে তার নামে মিউটেশন করে খারিজ করে নেন। জায়গার খাজনাও পরিশোধ করেন। সেখানে স্ত্রী সন্তানসহ বসবাস করতে থাকেন।

 

আওসাফুর রহমান আরও বলেন, ২০১০ সালের শেষের দিকে ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্দেশে পুলিশ তাদেরকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে। পরে এ বিষয়ে মামলা হয়।

 

পরে তারা জানতে পারেন এ জায়গা অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে অধিগ্রহণ করে বিসিএস প্রশাসন কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতিকে দেওয়া হয়েছে। ওই বছরই জায়গা অধিগ্রহণ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সিরাজ কমান্ডারের সন্তানরা। রিটের শুনানি নিয়ে ২০১২ সালে হাইকোর্ট অধিগ্রহণ অবৈধ ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে লিভ টু আপিল করে সরকার। সেই লিভ টু আপিল শুনানি চলছে।  সূএ:ঢাকা মেইল ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com