‘ধর্ম আর অসহিষ্ণুতা বিশ্বকে ক্রমশ গ্রাস করছে। আজ হিজাব, কাল টিপ, পরশু শাড়ি…. নারীর কিছু না কিছু নিয়ে অকারণ বক্তব্য। এটা একেবারেই কাম্য নয়। আমি কী পরব সেটা সম্পূর্ণ আমার বিষয়। আমি কী করব, সেটাও। যিনি বলবেন তাকে আমার রোষের আগুনে পুড়তে হবে।’
সম্প্রতি টিপ পরার নিয়ে রাজধানী তেজগাঁও কলেজের শিক্ষিকা লতা সমাদ্দারকে এক পুলিশ কর্মকর্তার হেনস্তার বিষয়ে আনন্দবাজার অনলাইনকে এসব কথা বলেন রাফিয়াত রশিদ মিথিলা।
দুই বাংলার জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীর বলেন, ‘শাড়ি আর টিপ বাঙালি নারীর প্রিয় সাজ। সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলা মানে তার আত্মমর্যাদায় আঘাত করা। যা আমি মেনে নিতে পারছি না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কপালে টিপ পরা নিজের ছবি দিয়ে মিথিলার সাবধান বাণী, ‘আমার টিপ নিয়ে কোনো কথা নয়, আমার স্বাধীনতা নিয়ে কোনো কথা নয়। যদি থাকে আমার আগুনে নিশ্চিহ্ন হওয়ার ভয়, পৃথিবীটা তোমার একার নয়!
প্রতিবাদ জানাতে অভিনেত্রী বেছে নিয়েছেন রাজর্ষি দে’র ছবি ‘মায়া’র একটি স্থির চিত্র। ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিথিলা। সেই ছবিতে তিনি নিজের কপালে লাল টকটকে সিঁদুরে টিপ এঁকেছেন। তার দাবি, ছবিটি সাদা-কালো ছিল। কপালের টিপের প্রতি সবার নজর কাড়তে তিনি তাকে রঙিন করেছেন।
নায়িকার কথায়, ‘আমার এই ছবি ও মন্তব্যের নীচে বহু পুরুষ তাঁদের কপালে টিপ এঁকে ছবি দিয়েছেন। সমর্থন জানিয়েছেন আমায়। খুব ভালো লাগছে। প্রতিবাদের হাত ধরে লিঙ্গভেদও যেন মুছে যাচ্ছে!
প্রতিবাদ করতে গিয়ে খারাপ মন্তব্য শুনতে হয়েছে মিথিলাকেও। এ বিষয়ে তার জবাব, ‘সে তো অন্য ধর্মের মানুষকে বিয়ে করার পর থেকেই শুনতে হচ্ছে। এ সব আর গায়ে মাখি না। ভালো থাকাটাই সবচেয়ে জরুরি আমার কাছে। কে কী বলল, কী এসে গেল!’
সূএ: বাংলাদেশ জার্নাল ডটকম