ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করে। জনগণই আওয়ামী লীগের শক্তির একমাত্র উৎস। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই আওয়ামী লীগ সবসময় ক্ষমতায় এসেছে। এ আশা-আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশাকে ধারণ করেই রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে। ক্ষমতার জন্য আওয়ামী লীগ কখনো জনগণ ব্যতীত অন্য কারো মুখাপেক্ষী হয়নি।
আজ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্যের’ প্রতিবাদে দেওয়া এল বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতা দখলের নীলনকশা বাস্তবায়নে ১৯৯১ সালে জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি পাকিস্তান থেকে অর্থ সহায়তা নিয়েছিল। ২০০১ সালের নির্বাচনের আগেও বিদেশি প্রভুদের কাছে আমাদের জাতীয় সম্পদ প্রাকৃতিক গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে সুক্ষ্ম কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছিলেন খালেদা জিয়া। এসব দিন দেশবাসী ভুলে যায়নি। এখনো ক্ষমতা দখলের জন্য বিএনপি নেতারা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বিদেশি প্রভুদের স্বার্থ রক্ষার মুচলেকা দিয়ে যারা ক্ষমতায় আসে, তারা কখনই জনগণের কল্যাণ করতে পারে না।
আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয়ের চুক্তি প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হীন রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে মনগড়া ও বানোয়াট মন্তব্য করেছেন। নিরবচ্ছিন্নভাবে জনগণের বিদ্যুৎ সুবিধাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার আদানির কাছ থেকে একটি লাভজনক চুক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ ক্রয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতের একটি কোম্পানিকে দিয়ে ২ বিলিয়ন ডলার এককালীন বিনিয়োগ করিয়ে, ভারতের অভ্যন্তরে ৬০০ একর জমির ওপর বিদ্যুৎকেন্দ্র বানিয়ে, ভারতের আকাশে কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে, তা সর্বনিম্ন দামে ক্রয় করে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে এবং সেই বিদ্যুৎ বাংলাদেশের মানুষ ব্যবহার করবে। পুরোপুরি বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষা করেই এই চুক্তি হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ এই চুক্তির ফলে লাভবান হয়েছে। যারা বিদ্যুতের বদলে জনগণকে খাম্বা দিয়েছে, বিদ্যুতের দাবি করায় গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে, তাদের মুখে বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি নিয়ে কথা বলা মানায় না।
তিনি বলেন, বিএনপি মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তাদের অন্তরে স্বৈরাচারের চেতনা প্রবাহমান। যারা একজন দুর্নীতিবাজ পলাতক খুনি আসামির জন্য দলীয় গঠনতন্ত্রে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়, তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপিই এদেশের গণতন্ত্রের প্রধান অন্তরায়। বিএনপি মানেই হলো- দুর্নীতি, লুটপাট, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, খুন-ধর্ষণ ও সর্বোপরি জনগণের ওপর নির্যাতন। আর আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য- দেশের উন্নয়ন ও জনগণের জীবনের মানোন্নয়ন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকায় বাংলাদেশের অর্থনীতি মজবুত ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সব প্রতিকূলতা জয় করে উন্নত-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।