অস্থিরতা কাটছে আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলে, আজও বন্ধ ২৫ কারখানা

ছবি সংগৃহীত

 

অস্থিরতা কাটতে শুরু করেছে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে। গত কয়েকদিনের ধারাবাহিকতায় শিল্পাঞ্চলে আজও অধিকাংশ পোশাক কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করছেন শ্রমিকরা। তবে আজও ২০টি পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে। সাধারণ ছুটি রয়েছে আরও ৫টি কারখানায়। আর বিভিন্ন দাবি আদায়ে কর্মবিরতি চলছে ২-৩টি কারখানায়।

 

আজ সকাল থেকেই ডিইপিজেডসহ আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ কারখানায় দল বেঁধে শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে দেখা গেছে। র্যাব পুলিশ ছাড়াও সেনাবাহিনীর সদস্যরা কারখানার প্রধান ফটকগুলোর সামনে অবস্থান নিয়ে আছেন।

শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চলতি সপ্তাহে নতুন করে এই অঞ্চলে কোনো কারখানা বন্ধ ঘোষণার তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে এখনো বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩(১) ধারায় ২০টি কারখানা বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও সাধারণ ছুটি রয়েছে আরও ৫টি কারখানায়। গত সপ্তাহের বিভিন্ন সময় শ্রমিক অসন্তোষ চলাকালীন এসব কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়, যা পরবর্তীতে আর খোলা হয়নি।

 

অন্যদিকে বকেয়া বেতন ভাতার দাবিতে আশুলিয়ার ইউসুফ মার্কেট এলাকার জেনারেশন নেক্সট ও কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে পলাশবাড়ী এলাকার পার্ল গামেন্টসের সামনে শ্রমিকরা অবস্থান নিয়ে আছেন। এছাড়াও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে লুসাকা গ্রুপে কর্মবিরতি পালন করছেন শ্রমিকরা।

 

বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড সোয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইন বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ কারখানা খুলে দেওয়া হলেও কিছু কারখানা এখনো শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় বন্ধ আছে। যেহেতু পরিস্থিতি উন্নত হয়েছে, তাই আমরা মালিকপক্ষ ও বিজিএমইএকে অনুরোধ করবো এসব কারখানাও খুলে দিতে। তা না হলে এই বন্ধ কারখানাকে কেন্দ্র করে নতুন করে বিশৃঙ্খলা তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে।

 

শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় ২০টি বন্ধ এবং ৫টি কারখানায় সাধারণ ছুটি রয়েছে। এর বাইরে শিল্পাঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তায় বিভিন্ন কারখানার সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকা ছাড়াও অব্যাহত আছে যৌথ বাহিনীর টহল কার্যক্রম।

তিনি আরও বলেন, যেসব কারখানা বন্ধ রয়েছে সেখানকার শ্রমিকরা কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে কিছুটা হৈ চৈ করছেন। আমরা চেষ্টা করছি বিজিএমইএ ও মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে যেন কারখানাগুলো দ্রুত খুলে দেওয়া হয়।  সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা

» রাজাকারের নাতিপুতি আখ্যা দেওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল অপমানজনক

» নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষ পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেবে: টুকু

» রাতারগুলের অবকাঠামো উন্নয়নে সরকার পাশে থাকবে: আসিফ নজরুল

» প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘে যাচ্ছেন ৪ রাজনীতিবিদকে নিয়ে

» এবারের দুর্গাপূজা উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

» দুর্গাপূজায় আমাদের সর্বোচ্চ সতর্ক ও প্রতিরোধের প্রস্তুতি থাকতে হবে: তারেক রহমান

» পিআর দাবি জনগণের আঙ্খাকার সঙ্গে ‘মুনাফেকি’: রিজভী

» পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় অতন্দ্র প্রহরী হোন: নেতা-কর্মীদের মির্জা ফখরুল

» সফররত ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

অস্থিরতা কাটছে আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলে, আজও বন্ধ ২৫ কারখানা

ছবি সংগৃহীত

 

অস্থিরতা কাটতে শুরু করেছে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে। গত কয়েকদিনের ধারাবাহিকতায় শিল্পাঞ্চলে আজও অধিকাংশ পোশাক কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করছেন শ্রমিকরা। তবে আজও ২০টি পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে। সাধারণ ছুটি রয়েছে আরও ৫টি কারখানায়। আর বিভিন্ন দাবি আদায়ে কর্মবিরতি চলছে ২-৩টি কারখানায়।

 

আজ সকাল থেকেই ডিইপিজেডসহ আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ কারখানায় দল বেঁধে শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে দেখা গেছে। র্যাব পুলিশ ছাড়াও সেনাবাহিনীর সদস্যরা কারখানার প্রধান ফটকগুলোর সামনে অবস্থান নিয়ে আছেন।

শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চলতি সপ্তাহে নতুন করে এই অঞ্চলে কোনো কারখানা বন্ধ ঘোষণার তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে এখনো বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩(১) ধারায় ২০টি কারখানা বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও সাধারণ ছুটি রয়েছে আরও ৫টি কারখানায়। গত সপ্তাহের বিভিন্ন সময় শ্রমিক অসন্তোষ চলাকালীন এসব কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়, যা পরবর্তীতে আর খোলা হয়নি।

 

অন্যদিকে বকেয়া বেতন ভাতার দাবিতে আশুলিয়ার ইউসুফ মার্কেট এলাকার জেনারেশন নেক্সট ও কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে পলাশবাড়ী এলাকার পার্ল গামেন্টসের সামনে শ্রমিকরা অবস্থান নিয়ে আছেন। এছাড়াও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে লুসাকা গ্রুপে কর্মবিরতি পালন করছেন শ্রমিকরা।

 

বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড সোয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইন বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ কারখানা খুলে দেওয়া হলেও কিছু কারখানা এখনো শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় বন্ধ আছে। যেহেতু পরিস্থিতি উন্নত হয়েছে, তাই আমরা মালিকপক্ষ ও বিজিএমইএকে অনুরোধ করবো এসব কারখানাও খুলে দিতে। তা না হলে এই বন্ধ কারখানাকে কেন্দ্র করে নতুন করে বিশৃঙ্খলা তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে।

 

শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় ২০টি বন্ধ এবং ৫টি কারখানায় সাধারণ ছুটি রয়েছে। এর বাইরে শিল্পাঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তায় বিভিন্ন কারখানার সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকা ছাড়াও অব্যাহত আছে যৌথ বাহিনীর টহল কার্যক্রম।

তিনি আরও বলেন, যেসব কারখানা বন্ধ রয়েছে সেখানকার শ্রমিকরা কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে কিছুটা হৈ চৈ করছেন। আমরা চেষ্টা করছি বিজিএমইএ ও মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে যেন কারখানাগুলো দ্রুত খুলে দেওয়া হয়।  সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com