অভিনব কায়দায় ডাকাতি করেছে পাবনায়। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতারও করেছে। তাদের মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের শিক্ষার্থী। গ্রেফতারকৃতরা হলো- পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দীঘা গ্রামের মৃত জমশের আলীর ছেলে ও পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী লিখন হাসান (২৪)। রাজশাহীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার মিয়াপুর সুতাহাটি গ্রামের আব্দুল্লাহিল কাফির ছেলে ও পাবনার সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের ইংরেজি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহিল বাকী অনিক (২২) ও পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুরের ভাদুরডাংগী গ্রামের হাতেম আলী মন্ডলের ছেলে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কোচিং পাবনা শাখায় অধ্যয়নরত আবুল বাশার (২১)।
বুধবার দুপুরে পাবনা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম।
এ সময় তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতরা অত্যন্ত মেধাবী ও বিচক্ষণ। তারা ভারতীয় টিভি সিরিয়াল দেখে অভিনব কায়দায় ডাকাতি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ীই বিভিন্ন বাসায় বিভিন্ন পরিচয়ে গিয়ে ডাকাতি করতেন তারা।
মেডিকেল রিপ্রেজেন্টটিভ পরিচয় দিয়ে গত ১০ জানুয়ারি পাবনা শহরের একটি বাসায় ঢোকার চেষ্টা করে তারা কিন্তু তাদের সন্দেহজনক মনে হলে ভিডিও ধারণ করতে গেলে পালিয়ে যান। পরেরদিন ১১ জানুয়ারি দুপুরে পাবনার বড় বাজার এলাকায় কোচিং সেন্টারের শিক্ষক পরিচয় দিয়ে বাসায় ঢুকে এক গৃহবধুর হাত-পা বেঁধে ৭২ হাজার টাকা ও ৪ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যান তারা।
এসব ঘটনার রহস্য উৎঘাটনের জন্য তথ্য প্রযুক্তি ও সিটিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ ৩১ হাজার টাকা, ৪ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও আসামিদের ব্যবহৃত ৪টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হবে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম। এই চক্রের সাথে আরো কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখার জন্যই অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন। তারা ভারতীয় টিভি শো ক্রাইম পেট্রোল দেখে বিভিন্ন অপরাধ করার কৌশল শিখেছে। তারা অত্যন্ত বুদ্ধিমান ও আইটি বিষয়ে অভিজ্ঞ। তারা আরও অনেক বাসায় একই কায়দায় ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল।